Published : 05 May 2025, 11:55 AM
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজনের প্রাণ গেছে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপুর্টি গ্রামে রোববার রাত ৮টার থেকে তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম কুদ্দুস মোল্লা; বয়স ৬০ বছর। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মকরমপুর্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দবির মাতব্বরের সঙ্গে একই গ্রামের বজলু মুন্সির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ জেরে দবিরের অনুসারী সোলেমান মাতুব্বরের সঙ্গে ও বজলুর সমর্থক শাহ আলম কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুদল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা, রামদা ও ইট নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে ওই এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
ভাঙ্গার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তাহসিন জুবায়ের বলেন, সংঘর্ষে কুদ্দুস মোল্লা নামের একজন নিহত হয়েছেন। আর আহত ৬ থেকে ৭ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি আশরাফ হোসেন বলছেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। সংঘর্ষে কুদ্দুস মোল্লা নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা গেছেন।”
এর জেরে নতুন করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকার বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।