চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ওই দুই কর্মকর্তা ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকার সরকারি ওষুধ আত্মসাৎ করেন বলে জানান পিপি।
Published : 30 Nov 2023, 06:44 PM
সরকারি ওষুধ আত্মসাৎ ও বিক্রয়লব্ধ টাকা আত্মসাতের মামলায় চুয়াডাঙ্গার সাবেক সিভিল সার্জন এবং এক ভাণ্ডার কর্মকর্তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দুদকের করা মামলায় বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আল মুজাহিদ মিঠু।
দণ্ড পাওয়ারা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল বাজার গ্রামের বাসিন্দা ও চুয়াডাঙ্গার সাবেক সিভিল সার্জন মো. নাজমুল হক (৬৯) এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইছাকুণ্ডু গ্রামের বাসিন্দা ও চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভাণ্ডার কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক (৬২)।
মামলার বরাতে পিপি আল মুজাহিদ মিঠু বলেন, চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত থাকা অবস্থায় নাজমুল হক ও ভাণ্ডার কর্মকর্তা ফজলুল ২০০৫ সালে একটি এবং ২০০৬ সালে চারটি চাহিদা পত্রের অনুকূলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ উত্তোলন করেন।
ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুদানে পাওয়া এসব ওষুধ দুর্যোগ ও আপৎকালীন সময়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বরাদ্দ করা হয় বলে তিনি জানান।
এসব ওষুধ গুদামে জমা না করে নাজমুল এবং ফজলুল পরস্পর যোগসাজশে তা বিক্রয় করে আত্মসাৎ করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম মোড়ল বাদী ওই দুইজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুদক সমন্বিত কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপপরিচালক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ওই দুইজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুই আসামিকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাস কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান পিপি মুজাহিদ।
সেইসঙ্গে আত্মসাৎ করা ওষুধের মূল্য বাবদ আদালত দুইজনকে আলাদাভাবে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন; যা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস কারাবাসে থাকার আদেশ দেন বলে জানান পিপি।
এ ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।