ঘটনার প্রতিবাদে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ও স্থানীয় রিকশাচালকরা প্রায় ২ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
Published : 06 Mar 2024, 07:20 PM
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের রেকারের চাপায় এক রিকশাচালক নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন।
ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অন্যান্য রিকশাচালক ও বিক্ষুব্ধ জনতা।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ থানা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ জানান।
নিহত রিকশাচালক শাহিদ বাবু (২৫) উপজেলার কোগারিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের ছেলে। আহত চালকের নাম আসাদুল ইসলাম (৩৩)। তিনি উপজেলার বড় সাতাইল-বাতাইল গ্রামের আব্দুল মালেক আকন্দের ছেলে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহিদ বাবু ও আসাদুল ইসলাম রিকশা নিয়ে থানা মোড় (চৌমাথায়) এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় রেকারটি গোবিন্দগঞ্জ থানা থেকে বেরিয়ে ওই এলাকায় গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শাহিদ ও আসাদুলকে চাপা দেয়। এতে শাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আসাদুল আহত হন।
এদিকে, ঘটনায় প্রতিবাদের টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ও স্থানীয় রিকশাচালকরা প্রায় ২ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন । এতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ও দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া ও ওসি শামসুল আলম শাহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
পরে গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ মোবাইল ফোনে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
গোবিন্দগঞ্জের দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর চন্দন কুমার বলেন, “চালক নিজেই রেকারটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্রেক ফেইল হওয়ায় এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে।”
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ বলেন, “এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ও রিকশাচালকরা ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অবরোধ করেন। পরে জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”