গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিকট বিস্ফোরণের পর এলাকায় আগুন, আতঙ্ক

এ সময় আতঙ্কিত হয়ে মানুষ বাড়িঘর ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটেন।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2023, 10:55 AM
Updated : 4 May 2023, 10:55 AM

কয়েক দফা বিস্ফোরণের পর সাভারের আশুলিয়ায় একটি গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম পুড়ে গেছে; এতে আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার শিকদার পাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জিরাবো মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহমেদুল কবির।

তিনি বলেন, “গুদামটিতে অনুমোদন ছাড়াই এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার মজুদ ও রিফিল করা হতো। কোনো ফায়ার লাইসেন্সও ছিল না।”

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে প্রথমে গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে একে একে বিস্ফোরণ ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে সোহেল নামে এক ব্যক্তির খালি জমি ভাড়া নেন ব্যবসায়ী মিরাজ। তিনি সেখানে গুদাম তৈরি করে এলপিজি গ্যাস মজুদ করতে শুরু করেন। পরে বড় বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের কাজও শুরু করেন।

আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনার একটি ভিডিও সংবাদকর্মীদের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, গাছপালা ঘেরা একটি জায়গায় গুদামটির অবস্থান। সেখানে আগুন জ্বলছে এবং বিকট শব্দে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বড় বড় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আশপাশের বিভিন্ন বাড়ি ও স্থাপনার ওপর গিয়ে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।

এতে আতঙ্কিত হয়ে আশপাশের মানুষ বাড়িঘর ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটেন। এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘর, বিদ্যুৎ লাইন, পানির ট্যাংক দোকান ও গাছ পুড়ে যায়। খসে পড়ে বিভিন্ন বাড়ির ছাদের ও দেয়ালের পলেস্তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, “ভোরে হঠাৎ বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। বাড়ির পাশের গুদামে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হতে থাকে৷ এ সময় পুরো কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে।”

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনটি ঘটনাস্থলের খুব কাছেই। খবর পেয়েই তারা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেন। 

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহমেদুল কবির জানান, প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভান গেলেও টিনশেড গুদামটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

তিনি আরও বলেন, “গুদামটিতে ৩০-৪০টি ডাবল ও সিঙ্গেল পার্টের সিলিন্ডার মজুদ ছিল। এর মধ্যে ছোট-বড় মিলে ৫-৬টি বিস্ফোরিত হয়েছে।”

“গুদামটির যেহেতু কোনো অনুমোদন ছিল না তাই এখন বিস্ফোরক অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে”, যোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা।