বৃহস্পতিবার রাতে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ওই নেতা।
Published : 04 Oct 2024, 08:46 PM
গোপালগঞ্জে সেনা সদস্যদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র ছিনতাই মামলায় স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন খান জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের সীতারামপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান শিকদারের ছেলে নীরব শিকদার (২৭)।
মামলার নথির বরাতে ওসি বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গত ১০ অগাস্ট গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
এতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা গোপীনাথপুর, জালালাবাদ, চন্দ্রদিঘলিয়া, কাশিয়ানী উপজেলা নিজামকান্দি, ফুকরাসহ আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।
এতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুই দিকের শত শত যানবহন আটকা পড়ে।
খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের দেখে ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকরীরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ক্ষিপ্ত হয়ে সেনা সদস্যদের ওপর হামলা করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি চালায়।
পরে বিক্ষুব্ধরা সেনা সদস্যের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে মিছিল করতে থাকেন।
এসময় তারা সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। এতে কর্মকর্তাসহ ৯ সেনাসদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় গত ২২ অগাস্ট ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামি হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহব উদ্দিন আজমসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তিন হাজার ২০০ অজ্ঞাতনামা আসামি হয়।
ওই মামলায় নীরব শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান, কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন খান।