সাজার পাশাপাশি আসামিকে দুই লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক।
Published : 16 Apr 2025, 04:45 PM
চুয়াডাঙ্গায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে আদালত।
চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আলতাফ হোসেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ গ্রামের সাদেক আলী মৃধার ছেলে।
তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে তার পেটে ব্যথা ও বমি অনুভূত হয়। এরপর পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন যে তিনি ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার মাকে জানায় যে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাড়িতে গেলে বাবা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ৭-৮ মাস ধরে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা ২০২৪ সালের ৭ মার্চ আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এ মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, “কিশোরী মেয়ে ধর্ষণ করায় বাবাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।”