“তানিয়া অন্তঃসত্ত্বা হলে সোহাগ মোল্লার সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।”
Published : 27 Apr 2025, 05:37 PM
ঢাকার সাভারে বাঁশ ঝাড় থেকে লাশ উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের ছোট কালিয়াকৈর এলাকায় বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। শ্বাসরোধ করে হত্যার পরে পরিচয় লুকাতে তার মুখমণ্ডল রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছিল।
পরে রোববার সাভার থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পরিচয় নিশ্চিত করে তার স্বামীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির।
নিহত ওই নারীর নাম তানিয়া আক্তার (২৪)। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বাঘানগর গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে। গ্রেপ্তার সোহাগ মোল্লা (৩৫) নওগাঁ জেলার সদর থানার খিদিরপুর গ্রামের বাসের আলী মোল্লার ছেলে।
স্বামী সোহাগ মোল্লার সঙ্গে আশুলিয়ার সাধুপাড়া বউ বাজার এলাকার সুরুজ মিয়ার ভাড়া বাড়িতে থেকে পার্শ্ববর্তী একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন তানিয়া। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, তানিয়া ও সোহাগ দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। একই কারখানায় চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেজন্য তানিয়া তার প্রথম স্বামী আলী আহমদকে তালাক দিয়ে বছর খানেক আগে সোহাগ মোল্লাকে বিয়ে করেন। আগের সংসারে তানিয়ার ৬ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে।
কিন্তু সোহাগ তার প্রথম স্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।
সাভারে বাঁশঝাড় থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, “এর মধ্যে তানিয়ার অন্তঃসত্ত্বা হলে সোহাগ মোল্লার সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এর জের ধরেই সোহাগ বুধবার তানিয়াকে ওই নির্জন বাঁশ ঝাড়ের ভেতর নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।”
শুক্রবার পুলিশ অজ্ঞাত নারী হিসেবে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে।
পর দিন শনিবার তানিয়ার বাবা নুরুল হক মেয়ে হত্যার ব্যাপারে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই শনিবার রাতে আশুলিয়া থেকে পুলিশ সোহাগকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ কর্মকর্তা কবির বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ মোল্লা স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তার দাবি তানিয়া পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন; বিষয়টি জানতে পেরে সোহাগ তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।”