টাঙ্গাইলের বাসাইলে রেল লাইন থেকে দুই কিশোর-কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরিবার ‘প্রেমের সম্পর্ক’ মেনে না নেওয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন এই যুগল।
বুধবার ভোরে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের রেল লাইনের জোড়বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশের এএসআই ফজলুল হক জানান।
নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গড়াশিন মধ্যপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে হাবিল মিয়া (১৭) ও একই উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ময়শানন্দনাল গ্রামের মনজুরুল ইসলামের মেয়ে রিতা আক্তার (১৫)।
তারা দুজনেই ভাতকুড়া এলাকায় আলাউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডে শ্রমিকের কাজ করতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএসআই ফজলুল জানান, একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে হাবিল ও রিতার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। কিন্তু সম্পর্কটি মেনে নেয়নি তাদের পরিবার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা দুজনে কর্মস্থল থেকে আর বাড়ি ফিরে যাননি। এর পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। পরে সকালে স্থানীয়রা রেললাইনে তাদের লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে রেলওয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
“ধারণা করা হচ্ছে, তাদের প্রেমের সম্পর্কটি মেনে না নেওয়ায় অভিমান করে তারা বাসাইল জোড়বাড়ী এলাকায় গিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়।”
লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল হাবিলের পরিবারের সদস্যরা। হাবিলের বড় ভাই আমির হামজা বলেন, “তাদের দুজনের মধ্যে অনেক দিন ধরে সম্পর্ক ছিল কিন্তু দুই পরিবার তা মেনে নেয়নি।”
জোড়বাড়ী লেভেলক্রসিংয়ে গেট কিপার সুলতান মাহমুদ বলেন, “ভোর ৪টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।”
এএসআই ফজলুল হক বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।