লন্ডনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের জন্য এনআইডি কার্যক্রম চালু

‘এনআইডি পাইলট প্রজেক্ট’ উদ্বোধন করছেন হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

দেশে প্রথমবারের মতো উদযাপিত জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষ্যে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিতরণ কার্যক্রম চালু করেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন।

শনিবার দূতাবাসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ‘এনআইডি পাইলট প্রজেক্ট’ নামে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

অনুষ্ঠানে তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেন এবং তিনজন কমিউনিটি ব্যক্তির এনআইডি আবেদন গ্রহণ করেন।

চলতি জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে লন্ডনে পূর্ণাঙ্গ এনআইডি সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে জানান হাই কমিশনার।

তিনি বলেন, “এনআইডি কার্ডের জন্য বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। প্রবাসীদের মধ্যে যাদের বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারা বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করলে তাদের বাংলাদেশের জন্ম-নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে তারা হাই কমিশন থেকে ই-পাসপোর্ট এবং এনআইডি নিতে পারবেন।”

প্রবাসীবান্ধব বিভিন্ন জাতীয় নীতিমালা গ্রহণ এবং ৩০ ডিসেম্বরকে জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাই কমিশনার বলেন, “গত পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে রেকর্ডসংখ্যক কনস্যুলার এবং ওয়েলফেয়ার সেবা দিচ্ছে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন। ২০২৩ সালেই কোভিড-১৯ পূর্ববর্তী ২০১৯ এর তুলনায় ৫৬% বেশি এনভিআর, ২৫% বেশি এমআরপি এবং ২ হাজার ৫০০ এর বেশি ওয়েলফেয়ার সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হয়েছে।”

প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই), রেমিট্যান্স পাঠানো ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (সিআইপি) নির্বাচিত ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের অভিনন্দন জানিয়ে এই তিন ক্ষেত্রে আরও বেশি অবদান রাখতে প্রবাসীদের আহ্বান জানান হাই কমিশনার।