বহু-সাংস্কৃতিক ও বহুভাষিক বিশ্ব রচনায় মাতৃভাষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস।
Published : 23 Feb 2024, 06:13 PM
বাঙালির গৌরবময় স্মৃতি, সেই সঙ্গে বেদনা আর বিদীর্ণ শোকের রক্তঝরা দিন অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে।
সেখানে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ এমন ভাষায় কথা বলছেন, যা তাদের মাতৃভাষা নয়। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পড়ে মানুষ সেই শিক্ষা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কোনো কোনো দেশে এমন মানুষের সংখ্যা ৯০ শতাংশেরও বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে বহু-সাংস্কৃতিক ও বহুভাষিক বিশ্ব রচনায় মাতৃভাষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস। সমৃদ্ধ সভ্যতা ও ভাষাগত ঐতিহ্য সংরক্ষণে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার গৌরবদীপ্ত আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে রক্ত ঝরানোর নেশায় মেতেছিল বন্দুক হাতে মেতে উঠেছিল তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিলে নির্বিচারে চলে গুলি। একে একে শহীদ হন রফিক, শফিক, জব্বার, বরকত, শফিউদ্দীন, সালামসহ আরও অনেকে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত অনুষ্ঠানে বলেন, “ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই জাতির পিতার নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রাম, যার চূড়ান্ত পরিণতি পায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের মাধ্যমে।”
জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (জিএসিএম) মোভসেস আবেলিয়ান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাহরাইনের স্থায়ী প্রতিনিধি জামাল ফারেস আলরোয়াইয়ি, রোমানিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি কর্নেল ফারোতা, বলিভিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি দিয়েগো প্যারি রডরিগুয়েজ, দক্ষিণ আফ্রিকার স্থায়ী প্রতিনিধি ম্যাথিউ জয়িনি, অস্ট্রিয়ার উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি স্টিফেন প্রেটারহোপার, ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা ক্যাম্বোজ, ইউনেস্কোর নিউ ইয়র্ক অফিসের পরিচালক ইলিয়ট মিনেচেনবার্গ, নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়রের আন্তর্জাতিক পরিচালক দিলিপ চৌহান।