অভিবাসন প্রতারণা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে এম এল গনি দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় লিখে চলেছেন বহুবছর ধরে।
Published : 27 Feb 2024, 10:46 AM
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে প্রবাসী লেখক ও কলামনিস্ট এম এল গনির বই 'কানাডা অভিবাসনের আবেদন - প্রত্যাশা ও বাস্তবতা।'
১৪৪ পৃষ্ঠার এ বই প্রকাশ করেছে 'আল-হামরা' প্রকাশনী। ফ্ল্যাপে সংক্ষিপ্ত রিভিউ লিখেছেন চমক হাসান। পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় স্টল নম্বর ৪৪৮ এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রকমারি ডটকমে।
বইটি সম্পর্কে লেখক এম এল গনি বলেন, "বহুসংস্কৃতির দেশ কানাডা অভিবাসনের জন্য বিশ্বের শীর্ষ পছন্দের একটি দেশ। সুদৃঢ় অর্থনীতি, মজবুত গণতন্ত্র, সামাজিক নিরাপত্তা, উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা, বিশ্বমানের কর্মপরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ইত্যাদি কারণে কানাডা উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে।"
অনেক দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও লাখো মানুষ কানাডায় পাড়ি জমাতে চায়। আর, এ আগ্রহ বা সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির সনদবিহীন ইমিগ্রেশন এজেন্ট দেশের আনাচে কানাচে তথাকথিত কনসাল্টিং ফার্ম খুলে কানাডা অভিবাসন-প্রত্যাশীদের পকেট হাতিয়ে নিচ্ছে নিয়মিতভাবে। এদের লোভনীয় প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকেই।
পাশাপাশি ইউটিউব, ফেইসবুক ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যমেও ভেসে বেড়ায় কানাডা ইমিগ্রেশন বিষয়ে অনির্ভরযোগ্য তথ্য ও প্রতারণার ফাঁদ। এম এল গনির এ বই অভিবাসন প্রতারণা বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের।
অভিবাসন প্রতারণা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে এম এল গনি দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় লিখে চলেছেন বহুবছর ধরে। 'কানাডা অভিবাসনের আবেদন - প্রত্যাশা ও বাস্তবতা' বইটি তার সেসব লেখালেখি ও কর্মক্ষেত্রের বাস্তব অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ বলে তিনি জানান। তার মতে, অভিবাসন আবেদন বিষয়ে কারও সাধারণ জ্ঞান থাকলে তাকে ঠকানো সহজ নয়; সেই সাধারণজ্ঞান দানের চেষ্টা রয়েছে বইটিতে।
অভিবাসন আবেদন বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি আবেদনে কীভাবে ভুলত্রুটি এড়িয়ে চলা যায় এবং কীভাবে নিজেকে কানাডা অভিবাসনের উপযোগী করে তোলা যায় সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা রয়েছে এ বইয়ে। কানাডায় প্রবেশের পর কীভাবে সেদেশের নিয়মকানুন মেনে নতুন পরিবেশে সহজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় তাও এই বইয়ের বিষয়বস্তুতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।