কোটা ব্যবস্থা সংস্কার আন্দোলন ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
Published : 10 Jul 2024, 03:21 PM
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় সম্মান পুনরুদ্ধার করা হয়। তাদের লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা চালু করেন। এখন স্মার্ট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বহাল করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবাসীদের সমাবেশে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংসদ মির্জা আজম।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলের এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
মির্জা আজম বলেন, “একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা ঘুণাক্ষরেও আশা করেননি যে, তারা বেঁচে থাকবেন। কিন্তু তারপরও পাক হায়েনার দল ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে। হত্যার হুলি খেলা চলছে এখনো সেই একাত্তরের মতোই, রাজাকার আর বিএনপি মিলে।”
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে যুবলীগের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক। তাই কারা এমন আন্দোলনে মদদ দিচ্ছে সেটিও ভেবে দেখতে হবে। ইতোমধ্যে বিএনপির নেতা রুহুল কবীর রিজভি বলেছেন যে, এর চেয়ে পাকিস্তানেই তারা ভালো ছিলেন। এজন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিলুপ্তির আন্দোলনে তারা মদদ দিচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে রাজাকারের দল।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা।
স্বাগত বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন্স ডাইরেক্টর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। সমাবেশে ২৮ মুক্তিযোদ্ধাসহ শতাধিক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।