জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে প্রথম বাঙালি হিসেবে বাংলায় ভাষণ দিয়ে এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি এবং সেই সাথে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সমুন্নত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
Published : 23 Feb 2019, 05:21 PM
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউনেস্কো আয়োজিত একুশের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দিতে গিয়ে সাইদা মুনা একথা বলেন।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, যা তিনি বাংলাতেই দিয়েছিলেন- ইংরেজিতে নয়, সেই ভাষণও ইউনেস্কো তার ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ অন্তর্ভুক্ত করেছে। বাংলা ভাষার জন্য এটিও একটি অনন্য গৌরবের বিষয়।”
দিনের শুরুতে হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম হাই কমিশন ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এসময় ভাষা শহীদদের এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সাফল্য কামনা করে দোয়া করা হয়।
বিকালে বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং লন্ডনে অবস্থিত ১১টি দেশের দূতাবাস ও হাই কমিশনের সহযোগিতায় মিলেনিয়াম গ্লস্টার হোটেলে ওই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এরপর বক্তব্য দেনন ফরেন অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান টম টুগেনহ্টা, শ্যাডো সেমিস্টার ফর ওয়ার্ক ও পেনশন স্টিফেন টিমস, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য কীথ ভাজ, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য জিন ল্যামবার্ট, কমনওয়েলথ সেক্রেটারী জেনারেল প্যাট্রিশিয়া স্কটল্যান্ড, আইএমও সেক্রেটারি জেনারেল কিটাক লিম, ইউকে কমিশন ফর ইউনেস্কোর প্রধান নির্বাহী ও সেক্রেটারি জেনারেল জেমস ব্রিজ, সাংবাদিক, কলামনিস্ট ও একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক অদিতি লাহিড়ী, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ এবং ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের প্রতিনিধি ড্যানিয়েল পাশা।
পরে সাইপ্রাস, কোস্টারিকা, কিউবা, মিশর, ভারত, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, ইরান, ওয়েলস (যুক্তরাজ্য) এবং স্বাগতিক দেশ বাংলাদেশের শিল্পীরা এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ভাষায় সংগীত ও কবিতা আবৃত্তি করেন। ছয়শ-রও বেশি আমন্ত্রিত অতিথি অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
এর আগে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ হাই কমিশনার প্রথানুযায়ী স্থানীয় কাউন্সিল টাওয়ার হ্যামলেটের মেয়র জন বিগসসহ পূর্ব লন্ডনের আলতাফ আলী পার্কের শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সর্বস্তরের সদস্যরা এ সময় ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |