গণহত্যা অস্বীকারের প্রতিবাদে লন্ডনে পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ 

একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে ওই বাহিনীর সম্পৃক্ততার অস্বীকৃতি জানিয়ে পাকিস্তান সরকারের দেওয়া বক্তব্যর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ)।

রানা মেহের ও এম সানজীব হোসেন, লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2015, 10:25 AM
Updated : 5 Dec 2015, 07:25 AM

Also Read: সৌদি আরবের জেদ্দায় বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহরে শহীদ স্মরণ

Also Read: বাঙালি নাদিয়ার বিলেতি হেঁশেল জয়

Also Read: গোল্ডম্যান স্যাকসের এমডি বাংলাদেশি নওশাদ

Also Read: লন্ডনে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অবদান অনেক: টেসা জাওয়েল

Also Read: লন্ডনে মঞ্চায়িত উদীচীর ‘ইঁদারা’

Also Read: সাকা-মুজাহিদের ফাঁসিতে নিউ ইয়র্কে উল্লাস

Also Read: দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি

Also Read: ‘তথ্য প্রযুক্তিখাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাইওনিয়ার হবে বাংলাদেশ’

Also Read: দীপন হত্যার প্রতিবাদে লন্ডনে সমাবেশ

Also Read: বিচার বিভাগ প্রভাবমুক্ত: লন্ডনে প্রধান বিচারপতি

Also Read: কার্ডিফে বইমেলা

Also Read: লন্ডনে বিচারপতি শামসুদ্দিনের ওপর ফের হামলা

Also Read: ব্লগার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লন্ডনে সমাবেশ

আইসিএসএফ ৩ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার লন্ডনের পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

পোস্টার, ফেস্টুন এবং স্লোগানের মাধ্যমে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিতরা ৩০ নভেম্বর পাকিস্তান সরকারের দেওয়া নীতিবহির্ভূত বক্তব্য প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের আপত্তিকর বক্তব্যসহ বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপকারী যেকোন বক্তব্য প্রদানে বিরত থাকার দাবি জানান।

সমাবেশে ১৯৭১ এ পাকিস্তানের করা যুদ্ধাপরাধের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাওয়ার জোর দাবি ওঠে।

১৯৭১ এর বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় সহযোগীরা আনুমানিক ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করে এবং ধর্ষণ করে প্রায় ২ লক্ষ নারীকে, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য ১ কোটি বেসামরিক বাঙালি আশ্রয় নেয় ভারতে শরনার্থী শিবিরগুলোতে।

আইসিএসএফ মনে করে এই সব গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিষয়ে পাকিস্তানের অস্বীকৃতি জানানো মূলত প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক সত্য অস্বীকার করা এবং বাংলাদেশের সুদীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রামকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস।

সেই সঙ্গে পাকিস্তানের চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে তদন্ত শুরু ও তাদের বিচারের আওতায় আনা আথবা বাংলাদেশের মাটিতে তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুর করতে বাংলাদেশ সরকারকে পাকিস্তানের সহযোগিতার দাবিও দৃঢ়ভাবে উচ্চারিত হয়।

যুদ্ধকালীন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গণহত্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া, অবিভক্ত পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ন্যায্য অংশীদারিত্বের সম্পদ বাবদ প্রায় ৪.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পাকিস্তানের আত্মসাৎকৃত ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের সাহায্যার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুদিত ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দেয়ার দাবি করেন উপস্থিতরা।  

পুষ্পিতা গুপ্ত'র পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন রায়হান রশিদ, ইয়াসমিন সুলতানা পলিন, শাহরিয়ার বিন আলী, মেফতা ইসলাম, সুশান্ত দাস গুপ্ত এবং কাজী শামসুল হাসান শুভ।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান শরীফ, মজিবুল হক মণি, জুয়েল রাজ, সুহানা জামান, ওমর ফারুক, রাজিব আহমেদ, আতাউর রহমান, সুমন দাস, মানস হালদারসহ আওয়ামী লীগের সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং ছাত্র-পেশাজীবীরা।

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদের জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায়  probash@bdnews24.com