লেখক অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা এবং প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল, রণদীপম বসু ও তারেক রহিমের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে রোববার পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে বাংলা কম্যুনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম স্ট্র্যাটেজি ফোরাম এবং ব্লগিং প্লাটফর্ম সচলায়তনের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
আয়োজকদের পক্ষে রানা মেহেরের স্বাগত বক্তব্যে পর নিহত সব ব্লগারদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সমাবেশ পরিচালনা করেন পুষ্পিতা গুপ্তা।
প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, ঘটনা দুটি মোটেও বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এটি লেখক প্রকাশকদের আতঙ্কিত করার মাধ্যমে দেশজুড়ে অসহিষ্ণু পরিবেশ সৃষ্টি করে বিবেক, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র।
প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজকরা ধর্মীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রসবাদ এবং বিচারহীনতার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
একের পর এক ব্লগার, লেখক থেকে এখন প্রকাশকদের হত্যা, কয়দিন পরে দেখা যাবে পাঠকদের খুন করা হচ্ছে, আর এটা হচ্ছে সরকারের ‘নীরবতার’ কারণে - এমন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অংশগ্রহণকারীদের। ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সন্ত্রাস দমন ও মানুষদের রক্ষায় সরকার ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণে নিয়মিত ব্যর্থতা এখন বিভিন্ন পেশা ও অবস্থানের মানুষের মাঝে তীব্র হতাশা সৃষ্টি করেছে বলেও ক্ষোভ দেখান উপস্থিত অনেকে।
এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, লাশের মিছিল কি শুধুই দীর্ঘ হবে নাকি প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন? এ প্রশ্ন তোলেন সমবেতরা।
প্রতিবাদে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোলাম কবীর, সুশান্ত দাস গুপ্ত, জুয়েল রাজ, সুহানা জামান, সৈকত আচার্য্য, ফেরদৌস আহমেদ ফয়সাল, আবেদ আলী, সৈয়দ এনাম, হামিদ মোহাম্মদ, মজিবুল হক মনি, ইঞ্জিনিয়ার মিফতাউল ইসলাম, আরিফুর রহমান, মশিউর রহমান মুসা, লিসা গাজী, স্মৃতি আজাদ, পলিন মাঝি, ডঃ ইমতিয়াজ, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিস্ট অ্যান্ড এথিকাল ইউনিয়নের ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন্স বব চার্চিল প্রমুখ।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা এখন থেকে সরাসরি আমাদেরকে জানাতে পারেন। পুরো নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com