রোববার মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই যুদ্ধাপরাধীর সাজা কার্যকরের খবর গণমাধ্যমে প্রচারের পরপরই জ্যাকসন হাইটস ও ব্রুকলিনের অলিগলিতে নেমে আসেন প্রবাসীরা।
এদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের বাংলাদেশি। এসময় মিষ্টি খেয়ে সবাইকে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এছাড়া ডাইভার্সিটি প্লাজা, আওয়ামী লীগ অফিস, পালকি পার্টি সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে।
সাকা-মুজাহিদের ফাঁস কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় ড. এম এ বাতেন বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাকা চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলতে হবে- এটি অবিশ্বাস্য ব্যাপার ছিল, যেমনটি ছিল মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে বিজয় অর্জনের ঘটনা।
“কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে উজ্জীবিত হওয়া বাঙালিরা যেমন মুক্তির জন্যে মাতোয়ারা হয়েছিলেন, ঠিক একই চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যাও একাত্তরের ঘাতকদের বিচারে সংকল্পবদ্ধ হওয়ায় সাকা চৌধুরীর মত দাম্ভিকেরাও রেহাই পেল না।”
ডেমক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটির সদস্য খোরশেদ খন্দকার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকের টেলিফোনেও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। সাকা চৌধুরীকে বাঁচাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয় আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে। কিন্তু বাংলার নেত্রী শেখ হাসিনা অবিচল রয়েছেন জনমতের প্রতি।”
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ডের সভাপতি ও নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিতাংশু গুহ সব যুদ্ধাপরাধীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন, “অন্যথায় ওরা সুযোগ পেলেই প্রতিশোধ নিতে পিছপা হবে না।”
প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মুহম্মদউল্লাহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সোচ্চার রাখতে প্রবাসীর দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
শহীদ পরিবারের সন্তান কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ দুই মানবতাবিরোধীর সর্বোচ্চ সাজা কার্যকরে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, “রাজাকারদের ফাঁসির মধ্য দিয়ে আমার দীর্ঘ প্রত্যাশা পূরণ হলো। আশা করছি সব ঘাতকের একই পরিণতি দেখতে পাব।”
বোস্টনে নিউইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ চৌধুরী এবং সেক্রেটারি ইউসুফ ইকবাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, সাকার ফাঁসির মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতি কলংকমুক্ত হলো।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদেরকে জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com