দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি

দণ্ডপ্রাপ্ত সব যুদ্ধাপরাধীর সাজা অবিলম্বে কার্যকর করার পাশাপাশি তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও দাবি উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2015, 05:50 AM
Updated : 27 Nov 2015, 02:23 PM

বুধবার যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর নিউ ইয়র্কে এক তাৎক্ষনিক আনন্দ সমাবেশে এই দাবি তোলা হয়।

নিউ ইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রামের প্রবাসীরা এই সমাবেশে যোগ দেন।

চট্টগ্রামের সন্তান এবং আওয়ামী লীগ নেতা রাফায়েত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, “কুখ্যাত ফজলুল কাদের চৌধুরী রাউজানের হিন্দু জমিদারের বাড়ি ও সমস্ত সহায়-সম্পদ জবর দখল করেছিল। এখন সময় এসেছে ওই বাড়ি ও সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার।”

যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এবং নিউ ইয়র্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরনবী বলেন, “দণ্ডপ্রাপ্ত ঘাতকদের সহায়-সম্পদ বাজেয়াপ্ত না করলে তাদের সন্তানরা ওই সম্পদের জোরে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠতে পারে।”

আনন্দ সমাবেশের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল পাশা মানিক বলেন, “দম্ভভরে কুখ্যাত রাজাকার সাকাচৌ বলেছিল, একাত্তরের ভূমিকার জন্যে কেউ তার বিচার করতে পারবে না। এমনকি সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়েও উপহাস করেছে বহুবার। আজ প্রমাণিত হলো- মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশে কোনো রাজাকারই দণ্ডের বাইরে থাকতে পারবে না।”

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা ইসমত হক খোকন।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুল কাদির মিয়া এবং পরিচালনা করেন সেক্রেটারি এ টি এম রানা।

পরে সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি বহালে সমাবেশে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানো হয়।

এদিকে নিউ ইয়র্ক, নিউজার্সি, বোস্টনে বসবাসরত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রবাসীরা দুই যুদ্ধাপরাধীর সাজা অবিলম্বে কার্যকর করার আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন নিউজার্সি সিটি কাউন্সিলের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন্নবী, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক ড. এম এ বাতেন, মুক্তিযোদ্ধা এবং ‘জেনোসাইড ৭১ ফাউন্ডেশন’র সভাপতি ড. প্রদীপ রঞ্জন কর প্রমুখ।

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদেরকে জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায়  probash@bdnews24.com