গণঅভ্যুত্থানকে ‘ক্ষমতার হাতবদলের উপায়’ হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
Published : 01 Sep 2024, 01:36 PM
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা ‘বৈষম্যহীন, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র’ গঠনে ১০ দফা কর্মসূচি প্রস্তাব করেছেন অর্থনীতিবিদ নজরুল ইসলাম।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের একটি মিলনায়তনে ‘প্রগ্রেসিভ ফোরাম’ আয়োজিত সেমিনারে মূল বক্তব্য দেন জাতিসংঘের উন্নয়ন গবেষণা দলের সাবেক এ প্রধান।
তার প্রস্তাবগুলো হচ্ছে: ১. অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস, ২. সুশাসন অর্জন, ৩. গণতন্ত্রের মানোন্নয়ন ও আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রবর্তন, ৪. পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, ৫. গ্রাম পরিষদ গঠন, ৬. ভৌগোলিক বৈষম্যের অবসান, ৭. সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি, ৮. নারী, শিশু, তরুণ ও বৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদান, ৯. সর্বজনীন সামরিক শিক্ষার প্রবর্তন এবং ১০. সার্বভৌমত্ব শক্তিশালীকরণ এবং নিরপেক্ষ বৈদেশিক নীতির অনুসরণ।
জাপানের এশিয়ান গ্রোথ ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং প্রফেসর নজরুল ইসলাম তার এ ১০ দফা পরিকল্পনার ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, “বৈষম্যহীন সমাজ বলতে কী বুঝায়, এর অর্থনীতি কী, এটার সমাজ কী, রাজনীতি কী, সে ব্যাপারে কিন্তু স্পষ্ট কোন বক্তব্য নেই। এখন আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথাবার্তা বলছেন। হয়তো আমরা আশা করতে পারি যে এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই জিনিসটা কিছুটা পরিণতি পেতে পারে।”
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কতখানি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। ছাত্র-জনতার বৈষম্যহীন সমাজের আকাঙ্ক্ষাকে পাশ কাটিয়ে ৫ অগাস্টের বিজয়কে নেহায়েত ক্ষমতার হাতবদলের উপায় হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাফিজুল হক। আলোচনায় আরো অংশ নেন ফোরামের উপদেষ্টা নাসিমুন্নাহার নিনি, মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদুল ইসলাম ও জাকির হোসেন বাচ্চু।