এলডিপি চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদও সাক্ষাৎ করেছেন।
Published : 11 Apr 2024, 11:42 PM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ৯ জ্যেষ্ঠ নেতা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় যান তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এক ঘণ্টার সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “উনি (বেগম খালেদা জিয়া) অসুস্থ, বন্দি অবস্থায় আছেন। আজকের আমরা এখানে উনার সাথে দেখা করেছি। এটি পুরোপুরি সৌজন্যমূলক একটি সাক্ষাৎ ছিল। এখানে আমরা কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি।
“তবে তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো তিনি রাজনৈতিক কারণেই বন্দি হয়ে আছেন। আমরা যেটা মনে করি, আমরা যেটা সবসময় বলে আসছি তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত এবং উন্নত চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত।”
ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি আপনাদের মাধ্যমে সারা জাতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দোয়া চেয়েছেন- তিনি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন, তিনি ভালো থাকেন।
“তিনি (খালেদা জিয়া) এটাও বলেছেন, তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছেন, রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য তিনি রাজনীতি করেছেন... রাজনীতি করছেন। এখন যে তিনি অসুস্থ অবস্থায়, বন্দি অবস্থায় আছেন-বলা যেতে পারে সেটাও রাজনীতির জন্য।”
পরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অলি বলেন, “দীর্ঘদিন পর আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে দেখা করতে এলাম। উনার অবস্থা দেখে মনে হয়েছে সরকার কত অমানবিক।”
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।
তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।
‘স্বজনদের নিয়ে ঈদ’
ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক এস্কান্দারসহ কয়েকজন নিকট আত্মীয় ফিরোজায় প্রবেশ করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য খাবার রান্না করে আনেন শামীম এস্কান্দার।
স্বজনদের নিয়ে দুপুরের খাবার খান খালেদা জিয়া। দুপুরে লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান, তাদের একমাত্র মেয়ে জাইমা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান, তাদের দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান, জাফিয়া রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন বেগম খালেদা জিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাধীন মেজ বোন সেলিমা ইসলামের খোঁজ-খবরও নেন বিএনপি চেয়ারপারসন।