রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে ২৬ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্পিকারের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বৈঠক হতে পারে।
রোববার এ বৈঠকের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
রাতে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, “স্পিকার মহোদয়ের সঙ্গে সিইসি মহোদয়ের বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির তারিখ চূড়ান্ত হবে। সেজন্য স্পিকার মহোদয়ের সঙ্গে ২৬ জানুয়ারি থেকে ২/৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে উপযুক্ত সময়ে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছে।”
তিনি জানান, আগামী এক মাস বা ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২৩ জানুয়ারি থেকে ক্ষণগণনা শুরু হবে এ নির্বাচনের।
এদিন সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমও জানিয়েছেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এদিকে সংসদের চলতি অধিবেশন ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংসদের ৩৫০ আসনের মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করার পর সাতটি আসন শূন্য রয়েছে। এই সাত আসনের ছয়টিতে উপ নির্বাচন হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন হবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের প্রার্থীর রাষ্ট্রপতি হওয়াটা নিশ্চিত।
সবশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল হয় ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেসময় ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ থাকলেও প্রার্থী একজন থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. আবদুল হামিদ।
আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে তার শেষ মেয়াদ। নির্ধারিত সময়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও।
আরও পড়ুন