Published : 24 Feb 2024, 09:32 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণাকারী রওশন এরশাদ।
তিনি বলেছেন, “অনেক নিবেদিনপ্রাণ নেতাকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি… আজকের এই দুর্দিনের জন্য কে দায়ী?”
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে দলের একাংশের বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টি যে ২৮৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে, তাতে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও তার ছেলে রাহগির আলমাহি এরশাদের (সাদ এরশাদ) নাম ছিল না। তবে রওশনের জন্য ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন ফাঁকা রাখা হয়েছিল। এর বাইরে রওশন অনুসারীদের কাউকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
এই বিরোধের জেরে ভোটের পর ২৮ জানুয়ারি এক মতবিনিময় সভায় রওশন নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে ‘অব্যাহতি’ দেন।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘‘অনেকে প্রশ্ন করেন, কেন নির্বাচনে অংশ নিলাম না। জাতীয় পার্টির অনেক নিবেদিতপ্রাণ নেতা, যাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল- তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাদের বাদ দিয়ে তো নির্বাচন করতে পারি না। আমার ছেলের আসনও যদি কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচনে যেতে পারি না।
‘‘তার পরও সব মেনে নিতে পারতাম, যদি জাতীয় পার্টির ভরাডুবি না হতো। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটা কীভাবে মানব? পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ সাহেবের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে নির্বাচনে। আওয়ামী লীগ ইশতেহারে বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখেছে। অথচ জাতীর পার্টির পোস্টারে পল্লীবন্ধু জায়গা পায়নি। এসবের জন্য কারা দায়ী? এটা আমাদের বুঝতে হবে।”
সারাদেশে জাপার প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদের বিপুল সমর্থক রয়েছে মন্তব্য করে তার স্ত্রী রওশন বলেন, ‘‘অগণিত নেতাকর্মীর দাবির মুখে আমি চেয়াম্যানের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়েছি। আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন হবে। এ সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে।
“সম্মেলন সফল করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বরাদ্দ পেয়েছি। আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতিও পেয়েছি। ৯ মার্চ কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের নিয়ে উপস্থিত হবেন। দলের নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন আপনারা।”
রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় জাতীয় পার্টির একাংশের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বক্তব্য রাখেন। বর্ধিত সভায় রওশনের ছেলে সাদ এরশাদও উপস্থিত ছিলেন।