গণভবনে ৯টি ইসলামী দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে আসার পর নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে।
Published : 26 Nov 2023, 12:30 AM
ধর্মীয় জলসায় মানুষের উপস্থিতি যতই থাকুক, ভোটের বাক্সে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর পক্ষে সমর্থন সব সময়ই দুর্বল। তারপরেও নির্বাচন এলেই বাড়ে তাদের কদর।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এখনও ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল বিএনপি; ভেঙে দেওয়া জোটের সাবেক শরিক ও আরও কিছু সমমনা দলও আছে তাদের পথেই।
এর মধ্যে নতুন কয়েকটি দলের ভূমিকায় রাজনীতিতে নানামুখি আলোচনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ৯টি দলের বৈঠক সেই আলোচনায় এনেছে নতুন হিসাব নিকাশ।
এই ৯টি দলের কেউ কেউ গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ, তবে বেশিরভাগ দলই বছরের পর বছর ধরে আওয়ামী লীগবিরোধী অবস্থানে থেকে রাজনীতি করে আসছে।
দলগুলো ভোটে এলে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়বে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে কি না, এ নিয়ে সংশয় কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কারণ, অতীতের নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, এই দলগুলোর ভোট প্রাপ্তি একেবারেই কম। বড় দলের সঙ্গে জোটে গেলে মূলত তাদের সমর্থনেই জিতে এসেছেন কেউ কেউ।
নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বা বিএমএল এর সর্বনিম্ন ২২৮ ভোট পেয়েছে, অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ লাখ ভোটার রায় দিয়েছে।
মাজারের অনুসারীদের দল তরীকত ফেডারেশন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পৌনে দুই লাখ ভোট পেলেও এগুলো তাদের নিজস্ব শক্তিতে নয়, তরীকত আওয়ামী লীগের শরিক ও জমিয়ত বিএনপির সমর্থনে এই ভোট পেয়েছে।
আওয়ামী, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বাইরে নিবন্ধন বাতিলের আগে জামায়াতে ইসলামী ৩২ লাখের বেশি ভোট পেয়েছিল। আর এই ভোট সংখ্যার কারণেই নানা সমালোচনা ও চাপের পরও বিএনপি এই দলটির সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতের এখন নিজস্ব প্রতীকে ভোট করার সুযোগ নেই। গত জাতীয় নির্বাচনে তারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করেছিল।
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিনপ) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছেন, “নির্বাচনের সময় এলেই ছোট দলগুলোর কদর বাড়ে। ভোটে না থাকলেও জোটে পাওয়ার চেষ্টা করে সবাই। নির্বাচনটাকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর জন্যই এ প্রচেষ্টা।”
৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ভোটে না আসার ঘোষণার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এবারের পরিস্থিতিটা ভিন্ন। সবাই জোর দিচ্ছে ইনক্লুসিভ নির্বাচনের জন্য। এক্ষেত্রে যত বেশি দল অংশগ্রহণ করবে গ্রহণযোগ্যতার বিচারের ততই ভালো।
“ক্রেডিবল ইলেকশনের একটা উপাদান হচ্ছে দলগুলোর অংশগ্রহণ। দলগুলোকে টানতে না পারলেও ব্যক্তিকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছে।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ দিয়ে যে তফসিল ঘোষণা হয়েছে, তাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ রাখা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। অর্থাৎ ভোটে আসতে হলে এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে দলগুলোকে।
নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ১৪টি ধর্মভিত্তিক। এর মধ্যে কিছু আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে রাজনীতি করে, কিছু দল আছে বিএনপির সঙ্গে। কয়েকটি দল স্বতন্ত্র অবস্থান রেখে চলছে।
এই দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও খেলাফত মজলিস ভোটে আসা বা না আসা নিয়ে সমীকরণ মেলাচ্ছে।
এদের মধ্যে কিছু দল ভোটে আসার ইঙ্গিত দিলেও কিছু দল এখনও ‘না আসার’ সিদ্ধান্তে অটল।
কার কী চিন্তা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশ ভোটে যাচ্ছে বলে না বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে আলোচিত হয়ে উঠা ইসলামী আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের আমির ঘোষণা করেছেন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হলে নির্বাচনে যাবেন। সুতরাং নতুন করে এ নিয়ে বলার কিছু নেই।
“পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইবাদতের রাজনীতি করে, আওয়ামী লীগ বা বিএনপির রাজনীতি করে না।”
যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসতে চাইছে না, তাদের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের দাবির মধ্যে পার্থক্য আছে। এই দলটি তত্ত্বাবধায়ক নয়, দাবি করছে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার। তবে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন তাদেরও দাবি।
অন্য দলগুলোর মধ্যে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমাদ আব্দুল কাদের বলেন, “আমাদের শতাধিক শূরা সদস্য বসে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “গত এক বছর ধরে আমরা বলে আসছি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে। কিন্তু তা দিচ্ছে না। ফলে সমস্যা ঘণীভূত হচ্ছে। এতে নির্বাচনের যাওয়া সমীচিন হবে না বলে শূরা সদস্যরা মত দেন।”
এই দলটি ১৯৯৯ সাল থেকেই বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ ছিল। তবে আহমাদ আবদুল কাদের হেফাজতে ইসলামে থাকার সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর জোট ছেড়ে দেয় তারা।
খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ পাঁচটি দল নিয়ে ‘সমমনা ইসলামী দল’ নামে নিজেদের এক ধরনের জোট রয়েছে।
এই জোটের সদস্য জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাতে ৯টি ইসলামী দলের আরও ১৩ জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। তবে জমিয়তের ভোটে না আসার ঘোষণা আছে।
এই সাক্ষাতের পর শাহীনুরের সদস্যপদ স্থগিত করেছে জমিয়ত।
“তাহলে আপনারা ভোটে যাচ্ছেন না?”- এই প্রশ্নে জমিয়তের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপাতত এই সিদ্ধান্ত।”
তিনি বলেন, “নবম ও একাদশ সংসদে আমরা অংশ নিয়েছিলাম। আমাদেরও ভালো ভোট আছে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না।”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, যিনি হেফাজতে ইসলামেরও নায়েবে আমির। এই দলটিও ইসলামী সমমনা জোটের অংশ।
আতাউল্লাহর বাবা হাফেজ্জী হুজুর নামে পরিচিত মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী, যিনি ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। তিনি ও তার দল সব সময় আওয়ামী লীগবিরোধী রাজনীতি করে আসছিলেন।
বৈঠকের দুই দিন পর খেলাফত আন্দোলনের শূরা কমিটির বৈঠকে ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন করে সেই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
দলটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কত আসন কীভাবে বণ্টন করা হবে, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।”
খেলাফত আন্দোলনের আমীর আতাউল্লাহ হাফেজ্জীসহ দলের ২০১ জন শূরা সদস্যের অধিকাংশই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
সমমনা ইসলামী দলের একটি নির্বাচনে চলে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানে জোট ভাঙার কিছু নেই। সমমনা কয়েকটি দল ছিল। একটি দল চলে গেছে; এখানে কী বলার আছে?
“আমরা এখনো মিটিং করিনি। করলে হয়ত বলতে পারতাম কেন গেল এবং পরবর্তীতে কী করণীয়?”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসা ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু যাতে হয় সে ধরনের সহযোগিতার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দুইদিন পর ৩৩ জন শূরা সদস্যদের বৈঠকে এ (কত আসনের প্রার্থী) বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সেই বৈঠকে থাকা বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরী ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ ছিলেন। পরে জোট সরকারের আমলেই বেরিয়ে এসে পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে।
ধর্মভিত্তিক অন্য দলগুলোর মধ্যে তরীকত ফেডারেশন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করে আসছে।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন থেকে সরে এসে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ভোটে আসার যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে তাদের শরিক হিসেবে আছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও জাতীয় পার্টির একাংশ।
নতুন নিবন্ধিত বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি –বিএসপি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে। ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ ‘মানবতাভিত্তিক’ দল দাবি করে মহাসচিব মো. রেহান আফজাল (রাহবার) জানিয়েছেন, দলীয় সরকারের অধীনে এবার ভোটে যাচ্ছেন না তারা।
ধর্মভিত্তিক দলের ভোট কত
গত তিনটি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দুটি হয়েছে অংশগ্রহণমূলক, একটি নির্বাচন বর্জন করে নিবন্ধিত বেশিরভাগ দল।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপির শরিক জামায়াতে ইসলামী দাঁড়িপাল্লা ৩৯ প্রার্থী দিয়ে ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৭ ভোট পায়, যা ছিল প্রদত্ত ভোটের ৪.৭০ শতাংশ।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম তাদের নিজস্ব প্রতীক খেজুর গাছের পাশাপাশি বিএনপির জোটের শরিক হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে লড়ে সাতটি আসনে; ভোট পায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৪৫টি। এর সিংগভাগই পড়ে ধানের শীষে।
ইসলামী ঐক্যজোট তার নিজস্ব প্রতীক মিনার ও ধানের শীষ মিলিয়ে ৭ আসনে পায় ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৫ ভোট, যা প্রদত্ত ভোটের ০.১৫ শতাংশ। এই ভোটের সিংহভাগই পড়ে ধানের শীষ প্রতীকে।
হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১৬৭ প্রার্থী পান ৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৪ ভোট (প্রদত্ত ভোটের ০.৯৪ শতাংশ)। তাদের শরিক বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নিজস্ব প্রতীক ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা মিলিয়ে ৩৩ আসনে পায় ১৬ হাজার ৯৪৪ ভোট (০.০২ শতাংশ)
যারা কোনো জোটে ছিল না তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মোমবাতি প্রতীকে ১৭ আসনে পায় ৩১ হাজার ৭৮৫ ভোট (০.০৫ শতাংশ)।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রিকশা প্রতীকে ৮ আসনে ভোট পায় ২৭ হাজার ৯২১টি (০.০৪ শতাংশ)।
তরীকত ফেডারেশনের ৩১ প্রার্থী ফুলের মালা নিয়ে পান ১৯ হাজার ৯০৫ ভোট (০.০৩ শতাংশ)
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ হারিকেন প্রতীকে ৫ জন প্রার্থী দেয়, ভোট পায় ১ হাজার ১১৩টি (০.০০ শতাংশ)।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ২ প্রার্থী চেয়ার প্রতীকে পান ৫৬৬ ভোট (০.০০ শতাংশ)।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪৮.০৪ শতাংশ, বিএনপি ৩২.৫০ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ৭.০৪ শতাংশ ভোট পায়।
দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় ১২টি দল।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের শরিক বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের তিন জন প্রার্থী ফুলের মালা প্রতীকে পান ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৯ ভোট (১.০৪ শতাংশ)।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রিক্সা প্রতীকে ২ আসনে পায় ৫ হাজার ৭২৫ ভোট (০.০৩ শতাংশ)।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের একজন প্রার্থী মোমবাতি প্রতীকে পান ২ হাজার ৫৮৫ ভোট (০.০২ শতাংশ)
বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে এই নির্বাচনে ৭২.১৪ শতাংশ ভোট পায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির বাক্সে পড়ে ৭ শতাংশ ভোট।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় ৩৯টি দল।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলটির ২৫ জন প্রার্থী প্রথমে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে বিএনপি তাদেরকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ দেয়।
ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ বা ১.৫৩ শতাংশ ভোট পায় ইসলামী আন্দোলন।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬০ হাজার ৩৬৭ (০.০৯ শতাংশ); ইসলামিক ফ্রন্ট ৩১ হাজার ১৭ (০.০৪ শতাংশ) বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ১৫ হাজার ১১৬ (০.০২ শতাংশ); ইসলামী ঐক্যজোট ১১ হাজার ৩২৮ (০.০১ শতাংশ); খেলাফত মজলিস ১১ হাজার ২০৩ (০.০১ শতাংশ); বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২ হাজার ৮৯৯; খেলাফত আন্দোলন ২ হাজার ৩৪৫; এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২২৮ ভোট পায়।
এই নির্বাচনে নৌকা ৭৬.৮০ শতাংশ, ধানের শীষ ১৩.৫১ শতাংশ ও লাঙ্গল ৫.৩৭ শতাংশ ভোট পায়।
গণভবনে ইসলামী ৯ দলের ১৪ নেতা, আলোচনা ভোট নিয়ে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিপাকে ‘ধানের শীষের’ সাবেক এমপি
১০ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় সরকার চায় ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন ‘পাতানো ফাঁদে’ পা দিবে না: চরমোনাই পীর
এক দফা ছেড়ে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গড়ে ভোটের মিছিলে সৈয়দ ইবরাহিম