সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন।
Published : 06 Nov 2022, 03:32 PM
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদেকে দুই দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম রোববার এ আদেশ দেন।
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নেওয়ার পর রোববার সকালে লঞ্চে করে ঢাকায় ফেরেন সুলতানা। ঢাকা সদরঘাট থেকে গাড়িতে করে গুলশানের বাসার দিকে রওনা হওয়ার পর র্যাব-৩ এর একটি দল তাকে আটক করে।
পরে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় পল্টন থানায় সোপর্দ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল আলম পরে সুলতানাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমকর্তা এস আই শওকত আহমেদ রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি দেন। অন্যদিকে সুলতানার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন।
সুলতানার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ। ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে সেখানে।
শুনানিতে মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, “এ ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট কার তা এখনও নির্ণিত হয়নি। তাছাড়া যে সব কথা বলা হয়েছে, তা মোটেও উসকানিমূলক নয়। দেশের সব মানুষ এই একই কথা বলে, তাই বলে কি সবার বিরুদ্ধে সরকার মামলা করতে পারবে? তা সম্ভব না। এ মামলাটি অসহিষ্ণুতার ফল।“
শুনানি শেষ বিচারক শহিদুল ইসলাম বিএনপির সহযোগী সংগঠনের এই নেত্রীকে দুদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।