পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও হিংস্র হয়ে গেছে বিএনপি-জামায়াত: তথ্যমন্ত্রী

“পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে রাজনৈতিক দাবি-দাওয়ার জন্য মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়নি," বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2023, 02:28 PM
Updated : 14 Nov 2023, 02:28 PM

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের মধ্যে আগুন ধরিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় কঠোর সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, “বিএনপি-জামাতের এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও হিংস্র হয়ে গেছে। পাকিস্তানি বাহিনী গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে, কিন্তু জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারে নাই।

“ডেমরাতে মধ্যরাতে বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করার পর একজন হেলপার বাসের মধ্যেই মারা গেছে। আরেকজন এখানে কোনোরকমে বেঁচে আছে, সে এখনও শঙ্কা মুক্ত নয়।"

মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পেট্রোলবোমা হামলায় আহতদের চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাদেরকে পাঠিয়েছেন, বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার যে মানুষগুলো এই হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, তাদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। অগ্নিদগ্ধদের সমস্ত চিকিৎসা এবং ব্যয় সরকারের পক্ষ থেকে এই ইনস্টিটিউটের পরিচালক সামন্ত লাল সেন, যিনি এই ইউনিট প্রতিষ্ঠার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তার নেতৃত্বে হচ্ছে। আমরা দলের পক্ষ থেকেও তাদেরকে সহায়তা করব।"

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি-জামাতের নির্মমতা নৃশংসতা, নিষ্ঠুরতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে কিভাবে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজকে বার্ন ইউনিটগুলোতে কাতরাচ্ছে, তা বর্ণনাতীত। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা যেভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করেছে, একই কায়দায় তারা আবার মানুষ ও যানবাহনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা শুরু করেছে।

“অসহায় মানুষগুলোকে যেভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের এই নির্মমতা প্রকাশে ‘নিষ্ঠুরতা', ‘হিংস্রতা'সহ যে শব্দগুলো বাংলা ভাষায় আছে, সেগুলো যথেষ্ঠ নয়।"

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, “বার্ন ইনস্টিটিউটে যারা চিকিৎসাধীন আছে, সবাই গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার, রিকশাওয়ালা আর দু-একজন কর্মজীবী। সবাই সাধারণ মানুষ। এদের কী অপরাধ? বিএনপি-জামাতের কাছে আমার প্রশ্ন- এই সাধারণ মানুষগুলোর কী অপরাধ? তারা কেন তাদের অপরাজনীতির, হিংস্রতার শিকার হলো? এটির কোনো জবাব তাদের কাছে নেই।

“নিজেদের রাজনৈতিক দাবি-দাওয়ার জন্য, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তাদের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য, তাদের তথাকথিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি- এগুলোর জন্য সাধারণ মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপ, আগুনে পুড়িয়ে মারা; এটি কেউ কল্পনাও করতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে রাজনৈতিক দাবি-দাওয়ার জন্য এভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়নি।"

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন ও চিকিৎসকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।