“উদ্দেশ্য একটাই- যেভাবেই হোক, বিএনপিকে জড়িত করে তাকে সেই দোষী সাব্যস্ত করা,” বলেন তিনি।
Published : 15 Apr 2023, 08:51 PM
ঢাকার নিউ সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘দায়িত্বহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “আজকে যিনি জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে প্রধানমন্ত্রী… তিনি আমাকে প্রায় দায়ী করেন এবং ওবায়দুল কাদেরও বলেন যে, আমরা নাকি সারাক্ষণ মিথ্যা কথা বলতে থাকি। অথচ আজকে প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি প্রকাশ্যে যে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলেন… আগুন যে লাগছে আপনার- সেই আগুনগুলোর পেছনে বিএনপি আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। কত দায়িত্বহীনতার কথা!”
শনিবার ইস্কাটন গার্ডেনে লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বক্তব্য রাখছিলেন।
ফখরুল বলেন, “একজন প্রধানমন্ত্রী- তার উচিত ছিল যে শক্ত করে বলা যে, এটার একটা নিরপেক্ষ তদন্ত করে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা তো করছেন না। করছেন না এজন্য যে, আগে থেকেই বলে দিচ্ছে এটার সঙ্গে বিএনপি জড়িত আছে কি না সেটা দেখতে হবে।
“অর্থাৎ আগেই বলে দিচ্ছেন- যারা তদন্ত করবে বা করতে পারে যে, ওই দিকে দেখতে হবে। আঙ্গুলটা তিনি ওই দিকে দেখাচ্ছেন। অর্থাৎ উদ্দেশ্য একটাই- যেভাবেই হোক, বিএনপিকে জড়িত করে তাকে সেই দোষী সাব্যস্ত করা।”
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত ষড়যন্ত্র বা বিএনপি-জামায়াত জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার- যে কথাটা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন যে, এই দেশে আগুন সন্ত্রাসের হোতা হচ্ছেন আপনারা, সন্ত্রাসের হোতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আজকে নয়, ১৯৭২ সালের পর থেকেই তারা দীর্ঘ তিন বছর-চার বছর এদেশের সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে সমস্ত ভিন্নমত যারা অবলম্বন করছিলেন, দেশপ্রেমিক যারা ছিলেন তারা আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন- তাদেরও কিন্তু এভাবে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে।
“তখনও আগুন লাগানো হয়েছে, তখনও বিরোধী দলকে নির্মূল করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং শেষে না পেরে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিলেন। সে কথাগুলো আমরা ভুলে যাইনি। আজকে একইভাবে একই লক্ষ্যে একই কায়দায় ওই একদলীয় বাকশালী শাসন ব্যবস্থা করবার জন্য তারা কাজ করছেন।”
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনের লক্ষ্যে সকলকে ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র আহ্বান জানান তিনি।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এ এস এম আবদুল হালিম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ।