তার চিকিৎসায় গঠিত ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার।
Published : 26 Jan 2024, 05:01 PM
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে বের করে চিকিৎসদের 'নিবিড় পর্যবেক্ষণে' রাখা হয়েছে।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোববার গভীর রাতে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এখন আর সিসিইউতে নেই।
তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে আছেন। ম্যাডামের লিভার, কিডনি, হার্ট, লাংসসহ সার্বিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে এক পর্যায়ে সিসিইউতে নিতে হয়। এখন সিসিইউয়ের পরবর্তিতে মেডিকেল বোর্ডের অধীনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।”
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি, লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ৯ অগাস্ট থেকে তিনি বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার শরীর এখন অত্যন্ত দুর্বল।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, "মেডিকেল বোর্ড মনে করছে, খালেদা জিয়াকে অতিদ্রুত লিভার প্রতিস্থাপনের সুযোগ আছে এমন কোনো বিদেশে আধুনিক মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া জরুরি। তাহলেই তিনি বিপদমুক্ত হতে পারবেন।"
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার। বিএনপি নেত্রীর ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমানও হাসপাতালে শাশুড়ির কাছে রয়েছেন।
এর আগে গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেবার পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফিরতে পেরেছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে সরকার দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদার দণ্ড স্থগিত করে। ওই বছরের ২৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)