নিউ মার্কেট ও ধানমণ্ডি থানায় তিন মামলা মিলিয়ে প্রায় ছয়শ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
Published : 24 May 2023, 01:36 PM
পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিউ মার্কেট ও ধানমণ্ডি থানায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
নিউ মার্কেট থানার ওসি শফিকুল গণি সাবু জানান, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ এনে এসআই সবুজ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
এ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চারশ থেকে পাঁচশ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় দুটি মামলা করেছে।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই মামলাতেই ৫২ জনের নাম রয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭ জনকে।
গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে মঙ্গলবার মহানগরগুলোতে বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল। এর অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ধানমণ্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। বিআরটিসির একটি দোতলা বাস ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পুলিশ ধানমণ্ডি থানা বিএনপির নেতা, গত নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম রবিসহ কয়েকজনকে আটক করে।
সংঘর্ষের জন্য বিএনপি ও পুলিশ পরস্পরকে দায়ী করে। বিএনপি বলেছে, কর্মসূচি শেষে দলীয় কর্মীরা ফেরার সময় পুলিশ ‘বিনা উসকানিতে’ তাদের উপর হামলা চালায়। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বিএনপিকর্মীরা হঠাৎ তাদের উপর হামলা চালায়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. আশরাফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “পুলিশের উপর বিএনপির একদল নেতা-কর্মী হঠাৎ হামলা চালায় এবং যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। ওদের এই হামলায় ৮/৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ফলে আমাদেরকে অ্যাকশনে যেতে হয়।”