বিএনপি কর্পূরের মতো উড়ে যাবে: কাদের

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে। খালি মাঠে গোল হবে না। ফাঁকা মাঠে গোল হবে না।”

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2022, 03:54 PM
Updated : 11 August 2022, 03:54 PM

আগামী ১৭ অগাস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবসে আওয়ামী লীগ মাঠে নামবে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তখন কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।

অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে দাবি করে সেদিন দেশের জেলা, উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কাদের।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “সবাই প্রস্তুত আছেন? আছেন মাঠে? খেলা হবে, মোকাবিলা হবে। যার যা কিছু ফ্রি-স্টাইল, বাংলাদেশে হতে দেব না আমরা। আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে, বিএনপি কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।

“পালানোর ইতিহাস আপনাদের (বিএনপির), আমাদের নেই। প্রয়োজনে দেশের মাটিতে জেলে যাবে। আওয়ামী লীগ পালাবার দল নয়।”

বিএনপি মহাসচিব ময়ুর সিংহাসন দেখছেন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এটা সোনার হরিণ। দিন যায়, রাত যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, বছর যায়, কিন্তু সোনার হরিণ ময়ূর সিংহাসনের দেখা আজও দেখলাম না।

“তাদের এই স্বপ্ন রঙিন খোয়াবের মতো কর্পূরের মতো উড়ে যাবে। আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে। খালি মাঠে গোল হবে না। ফাঁকা মাঠে গোল হবে না।”

আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা (বিএনপি ও সমমনা দলগুলো) যেভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, রাজপথ মনে হয় আমরা ভুলে গেছি। আমরাও আছি। অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন।”

অপপ্রচার, মিথ্যাচার চালিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমাদেরও প্রতিবাদ করতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে হবে।

“সেই জন্য আমরা আগামী ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবসে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে একটা বিক্ষোভ সমাবেশ আমরা করতে চাই। এই কর্মসূচি জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নে পালন করা হবে।”

শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকার কোনো বাধা দেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা যদি এই আন্দোলনের সঙ্গে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে। আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামলে আমরা নীরব হয়ে বসে থাকব? ঘরে বসে থাকব?

“আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কী আঙুল চুষবে? প্রতিরোধ করতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। রাজপথে মোকাবিলা হবে।”

বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনারা প্রতিদিনই সরকারের পতন দেখতে পাচ্ছেন। প্রতিদিই বলে সরকার পালিয়ে যাবে। কোথায় পালাব? আমাদের দেশ বাংলাদেশ।

“পালানোর ইতিহাস আমাদের নেই। প্রয়োজনে দেশের মাটিতে জেলে যাব। আওয়ামী লীগ পলাবার দল নয়। পালাবার দল আপনারা (বিএনপি)। আপনাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোথায়?

“তিনি টেমস নদীর তীরে কীভাবে দেখেন? জরুরি সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে এখান থেকে পালিয়ে গেছেন।”

জরুরি সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।