সড়কে বিএনপির সমাবেশের উদ্দেশ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী

১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2022, 06:28 PM
Updated : 22 Nov 2022, 06:28 PM

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে নয়া পল্টনের সড়কে সমাবেশ করতে চায়।

ঢাকার নয়া পল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করে এক দফার ঘোষণা দেবেন-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন ঘোষণার পর একথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান।

মঙ্গলবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয়ের এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকা শহরে এবং আশেপাশে এত মাঠ থাকতে উনারা নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে চায়, উদ্দেশ্যে কী!

“নয়া পল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করা যাবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে, জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে। এই উদ্দেশ্যে তারা নয়া পল্টনে পার্টি অফিসের সামনে ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়! এর পেছনে হীন উদ্দেশ্য আছে।”

কোনো বাধাই বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না- ফখরুলের একথার জবাবে হাছান বলেন, “আমরা তো কাউকে কোনো বাধা দিতে চাইনি। বাধা দিলে তারা সমাবেশ করতে পারত না।”

তিনি বলেন, “বিএনপি আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে সারাদেশব্যাপী বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হত্যা করেছে। অথচ তাদের মিটিংয়ে কি আজ পর্যন্ত একটি পটকা ফুটেছে? একটা মিটিং পণ্ড করতে দুটি পটকাই যথেষ্ট। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছি, যাতে করে তারা ভালোভাবে সমাবেশ করতে পারে এবং তারা ভালোভাবে সমাবেশ করছে।”

Also Read: ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই সমাবেশ, আসবে ‘আসল ঘোষণা’: ফখরুল

জঙ্গিদের মদদের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে হাছান বলেন, “এদেশে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি। বেগম জিয়া জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং বিএনপির জোটের মধ্যেই জঙ্গিগোষ্ঠি আছে। আজকে জঙ্গিদের আস্ফালনের সাথে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য একসূত্রে গাঁথা। তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায়, কারণ তারা চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।

“কিন্তু বিশ্বে যখন যুদ্ধ চলছে, বিশ্ব অর্থনীতি যখন টলায়মান, তন্মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, গয়েশ্বর বাবু তারা যাই বলুক না কেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলে গেছেন। বাংলাদেশ এই সংকটের মধ্যেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি অন্য দেশের জন্য উদাহরণ।

“ফখরুল সাহেব তো শিক্ষিত মানুষ। আমি আশা করব, তিনি একটু পড়াশোনা করবেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপট দেখবেন আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সম্পর্কে কী বলছেন সেটাও শুনবেন।”