“বিএনপি নেতৃবৃন্দের মনে রাখা উচিৎ, তারা কোনো আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারে নাই,” বলেন তিনি।
Published : 17 Jan 2024, 02:14 AM
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির প্রয়োগে সরকার চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আওয়ামী লীগ কোনো ভিসা নীতির প্রয়োগ বা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না। আওয়ামী লীগ পরোয়া করে দেশের জনগণকে। কোনো দেশের ভিসা নীতি বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রে কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না। জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করেই দেশের গণতন্ত্রের পথরেখা নির্ধারিত হবে।”
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হবে, এমন ব্যক্তিদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি করেছে, যার প্রয়োগও শুরু হয়ে গেছে।
সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় দাবি করে কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আওয়ামী লীগ জনগণের উপর আস্থা রেখেই সরকার পরিচালনা করে আসছে। জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো ধরনের অপতৎপরতাকে প্রতিহত করবে দেশের জনগণ।”
বিএনপি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ‘রাজনীতি’ করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি নেতৃবৃন্দের মনে রাখা উচিৎ, তারা কোনো আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারে নাই। বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদার মানবিকতার কারণে খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও নিজ বাসায় বসবাস করছেন এবং নিজের পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন। একারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ।”
তিনি বলেন, “বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাই, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন এবং রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা থেকে সরে আসুন। জাতিকে বিভক্ত করার দুরভিসন্ধি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক চেতনা ও সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করার দায় তাদের নিতে হবে।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)