“শুধু মার্কিন স্যাংশন নয়, এদেশের মানুষ এখন স্যাংশন দিচ্ছে এই সরকারকে,” বলেন তিনি।
Published : 17 Jan 2024, 01:57 AM
সরকার জোর করে নির্বাচন করতে তৎপর বলেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ‘অসম্মানজনক’ ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, দেশের এই অসম্মানের দায় আওয়ামী লীগের।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রোববার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশে দলের মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, “শুধু মার্কিন স্যাংশন নয়, এদেশের মানুষ এখন স্যাংশন দিচ্ছে এই সরকারকে। এ দেশের মানুষ পরিস্কার ভাষায় একবাক্যে বলছে, এখন অনেক হয়েছে, অনেক অত্যাচার করেছ, নির্যাতন করেছ, কারাগারে আটক করেছ আমাদের নেতাদের, আমাদের মাকে। আর আমরা সেটা হতে দেব না।”
বিএনপি নেতা বলেন, “আজকে গায়ের মধ্যে আগুন লেগেছে। অনেক হাঁকডাক করে আমেরিকা গিয়েছেন। ভেবেছেন, ওখানে গিয়ে বাইডেনের সঙ্গে পরিবারকে নিয়ে ছবি তুলে একটা সুরাহা বোধ হয় করা যাবে। গেছে করা?
“ভয়াবহ। ওইখানে যখন উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমেরিকায় বসে আছেন, ওই সময়ে আমেরিকার থেকে ভিসা নীতি সেটা কার্যকর করা হল। পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, এই নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিপক্ষে যারা দাঁড়াবে, যারা অতীতে দাঁড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ খুব সম্মানজনক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই অসম্মান কে বয়ে আনল? এই অসম্মান বয়ে এসেছে এই ভয়াবহ দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকার। আজকে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে, তারা একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করতে গিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধবংস করে দিয়ে মানুষের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়ে আজকে তারা জোর করে আবার একটা নির্বাচন করতে তৎপর।”
পুলিশের জন্য সাউন্ড গ্রেনেড আমদানির বিষয়ে বিএনপি নেতা বলেন, “আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আবার অন্যায়ভাবে ব্যবহার করবে। মানুষের যে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, সেই প্রতিবাদকে তারা স্তব্ধ করে দেবে।”
কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা আবার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, “একটা বেআইনি সরকারকে আবার প্রতিষ্ঠা করার জন্য গণবিরোধী সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য আপনারা দয়া করে অবস্থান নেবেন না।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)