দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবার ২৭টি দলের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন, জানালেন ইসি সচিব।
Published : 17 Dec 2023, 10:24 PM
একাধিক বৈঠক ও দেন দরবারের পর জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং ১৪ দলের জোটের শরিকদের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সেসব আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
রোববার একইভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসে ভোট থেকে সেসব আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্ররা মিলে মোট ৩৪৭ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে ভোটের লড়াইয়ে প্রার্থী থেকে গেলেন ১ হাজার ৮৯৬ জন।
এদিন রাতে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম সর্বমোট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও বৈধ প্রার্থী থাকার তথ্য দেন।
তিনি জানান, এবারের ভোটে জমা পড়া মোট ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ে বাদ যায় ৭৩১টি। এরপর শুনানিতে ৫৬০টি আপিল থেকে মঞ্জুর হয় ২৮৬টি এবং নামঞ্জুর হয় ২৭৪টি। স্থগিত রয়েছে ৫টি।
নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ২৭টি দলের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে। এজন্য ১৪ দলের শরিকদের ৬টি আসন ছেড়ে দিয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক মিত্র ও গত তিন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে ভাগাভাগি করেছে ২৬টি আসন। এতে করে ২৬৩ আসনে নৌকায় ভোট করবে আওয়ামী লীগ। যাছাই-বাছাইকালে ক্ষমতাসীন দলটির মনোনীত পাঁচ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়।
ইসিতে পাঠানো চিঠিতে জাপার প্রার্থীদের ছাড় দিতে আওয়ামী লীগের ২৫ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে। এর বাইরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের জন্য আগেই খালি রেখেছিল আওয়ামী লীগ। সেখানে আগে থেকেই কোনো প্রার্থীকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
সোমবার শেষ পর্যন্ত ভোটের দৌড়ে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৩০০ আসনে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবার দায়িত্ব পালন করছেন।
মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, আপিল নিষ্পত্তি শেষে ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র মিলে ২ হাজার ২৬০ জন বৈধ প্রার্থী ছিল। পরে রোববার ৩৪ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় ভোটের মাঠে রইল ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী।
গণতন্ত্রী পার্টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় মোট ২৭টি দল নির্বাচনে লড়বে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী লিখিত বা স্বাক্ষরিত নোটিসের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিজে অথবা লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
নিবন্ধিত দলের কোনো আসনে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়া থাকলে দলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী কোনো ব্যক্তি লিখিত নোটিস দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে নিজে গিয়ে কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত মনোনয়ন সম্পর্কে অবহিত করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ওই আসনে দলের অন্য প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে।
অপরদিকে দল থেকে ইসিকে কোনো চিঠি দেওয়া না হলে ওই আসনে ওই দলের সব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে।