ফখরুল ও আব্বাসের জামিন টিকবে? শুনানি রোববার

আপিল বিভাগে বিষয়টির নিষ্পত্তি না হাওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে তাদের পক্ষে জামিননামা দাখিল করা যাবে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2023, 11:19 AM
Updated : 4 Jan 2023, 11:19 AM

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে দেওয়া হাই কোর্টের জামিন আটকাতে রাষ্ট্রপক্ষ যে আবেদন করেছে, আপিল বিভাগে তার শুনানি হবে রোববার।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বুধবার বিষয়টি রোববার নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন রেখেছেন। সেই সঙ্গে ওই সময় পর্যন্ত আসামিপক্ষকে নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল না করতে বলা হয়েছে। 

দুই বিএনপি নেতার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, “সরকারপক্ষ একটি আপিল করেছিল। চেম্বার আদালত আগামী ৮ তারিখে (রোববার) শুনানির জন্য ফুল বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে আমাদেরকে আদালত বলেছেন যে, এই সময়কালের মধ্যে কোনো বেইলবন্ড দাখিল করা যাবে না।”

বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দীন খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় ফখরুল ও আব্বাসকে।

পাশাপাশি তাদের নিয়মিত জামিন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সেদিন বলেছিলেন, হাই কোর্ট জামিন দেওয়ায় ফখরুল ও আব্বাসের মুক্তিতে আর বাধা নেই। কিন্তু আপিল বিভাগের নির্দেশনার ফেলে আপাতত মুক্তি মিলছে না দুই বিএনপি নেতার। 

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে ৭ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ, গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতা-কর্মীকে।

পরদিন রাতে বাড়ি থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়, একই রাতে গ্রেপ্তার করা হয় মির্জা আব্বাসকেও। ৯ ডিসেম্বর পুলিশের উপর হামলা ও উস্কানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঠানো হয় আদালতে। তাদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে।

সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও রমনা থানায় চারটি মামলা করে পুলিশ। সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার নেতকর্মীকে আসামি করা হয় সেসব মামলায়।

তাদের মধ্যে ৭২৫ জনের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছিল, ওই তালিকায় মির্জা ফখরুল বা মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর করেন মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে তিন দফা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে।

Also Read: হাই কোর্টে জামিন পেলেন ফখরুল ও আব্বাস

Also Read: ফখরুল ও আব্বাসের জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন