আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিলে তাদের মুক্তিও আটকে যাবে।
Published : 04 Jan 2023, 12:28 PM
নয়া পল্টনে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আটকাতে আপিল বিভাগে গেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
ওই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই আবেদন জমা দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার জজের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান মনির সাংবাদিকদের বলেন, “আজকেই শুনানির জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে।”
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দীন খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় ফখরুল ও আব্বাসকে।
পাশাপাশি তাদের নিয়মিত জামিন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মঙ্গলবার বলেছিলেন, হাই কোর্ট জামিন দেওয়ায় ফখরুল ও আব্বাসের মুক্তিতে আর বাধা নেই।
তবে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিলে তাদের মুক্তিও আটকে যাবে।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে ৭ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ, গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতা-কর্মীকে।
পরদিন রাতে বাড়ি থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়, একই রাতে গ্রেপ্তার করা হয় মির্জা আব্বাসকেও।
পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের উপর হামলা ও উস্কানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঠানো হয় আদালতে। তাদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে।
সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও রমনা থানায় চারটি মামলা করে পুলিশ। সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার নেতকর্মীকে আসামি করা হয় সেসব মামলায়।
তাদের মধ্যে ৭২৫ জনের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছিল, ওই তালিকায় মির্জা ফখরুল বা মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর করেন মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে তিন দফা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে।