বিক্ষোভ মিছিলে তফসিলের প্রতিবাদ বিএনপি ও সমমনাদের

বিএনপি রামপুরা, মালিবাগ, ওয়ারি, মতিঝিলে, ছাত্রদল সায়েদাবাদ ও সেগুন বাগিচায় ‘ঝটিকা মিছিল’ করেছে। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি বিজয় নগর সড়কে, এলডিপি ও বাম গণতান্ত্রিক জোট পুরানা পল্টন সড়কে মিছিল করে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2023, 10:25 AM
Updated : 16 Nov 2023, 10:25 AM

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বুধবার যে তফসিল ঘোষণা করেন, তার বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর রাজপথে সরব হয় দলগুলো।

এর মধ্যে বিএনপি রামপুরা, মালিবাগ, ওয়ারি, মতিঝিলে, ছাত্রদল সায়েদাবাদ ও সেগুন বাগিচায় ‘ঝটিকা মিছিল’ করেছে।

এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি বিজয় নগর সড়কে, এলডিপি ও বাম গণতান্ত্রিক জোট পুরানা পল্টন সড়কে মিছিল করে।

এসব মিছিলে তফসিল ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের।

বিএনপি : মহানগর দক্ষিণ বিএনপি জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টায় ওয়ারি ও মতিঝিলে মিছিল করেছে তারা। এছাড়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে এবং সেগুন বাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির গেইট থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত ‘ঝটিকা মিছিল’ করেছে। এসব মিছিলে ২০/২৫ জন নেতাকর্মী ছিল।

গণতন্ত্র মঞ্চ : সকাল ১১টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা বিজয় নগর হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ কনরে। সমাবেশ শেষ আবার মিছিল পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “সরকারের নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল যে শেষ পর্যন্ত সরকারেরই তল্পিবাহক থাকবেন, তাদেরই নির্দেশে কাজ করবেন, এটা আমরা আগেই বলেছিলাম। কালকে তারা সেটার প্রমাণ দিলেন।”

তিনি বলেন, “আমরা একতরফা নির্বাচন মানি না, আমরা এই তফসিল মানি না।”

সহিংসতা ও নাশকতা করে এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে চলমান আন্দোলন দমানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন সাকি।

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, “শ্রমজীবী ও দেশের জনগণই আমাদের শক্তি। তাদের শক্তি নিয়েই এই সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব।”

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য রাশেদ খানের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

১২ দলীয় জোট: দুপুরে বিজয়নগর সড়কে মিছিলের পর আল-রাজি কপ্লেক্সের সামনে জোটের সমাবেশ হয়।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দেশকে নৈরাজ্যকর পরিবেশের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

সমাবেশে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নওয়াব আলী আব্বাস খান, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির আবদুল আউয়াল মামুন, জাগপার ইকবাল হোসেন, জাতীয় দলের শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের ইলিয়াস রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এলডিপি: দুপুরে কাকরাইলের নাইটেঙ্গল মোড় থেকে বিজয় নগর পর্যন্ত মিছিল করে দলটি।

এলডিপির প্রেডিয়াম সদস্য নেয়ামুল বশির বলেন, এই একতরফা তফসিল ঘোষণা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য।

গণঅধিকার পরিষদ : তফসিল বাতিলের দাবিতে ফকিরাপুল পানির ট্যাংকির কাছ থেকে বিজয়নগর হয়ে নয়া পল্টনে সড়ক দিয়ে মিছিল করে তারা। মিছিলে নুরুল হক নূরসহ সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

অন্যদিকে ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের আরেক অংশ মিছিল করে। এতে দলটির সদস্য ফারুক হাসানসহ অন্য নেতারা ছিলেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোট : পুরানা পল্টনে মোড়ে সমাবেশে করে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে মিছিল করে। বাম জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ, বাসদের (মার্ক্সবাদ) সমন্বয়ক মাসুদ রানা প্রমুখ এই কর্মসূচিতে ছিলেন।

এবি পার্টি :  দুপুরে বিজয় নগরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানায়। মিছিলে ছিলেন আবদুল ওহাব মিনার ও মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ নেতৃবৃন্দ।