দেশের ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশকে বিএনপি বাধাগ্রস্ত করছে’ বলেও অভিযোগ করেন কাদের।
Published : 25 Dec 2023, 04:23 PM
নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দেশের ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশকে বিএনপি বাধাগ্রস্ত করছে’ বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন কাদের।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "দেশের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে বিএনপি। যারা ভিসা বিষেধাজ্ঞা নিয়ে এত কথা বলল... নির্বাচনে যারা বিরোধিতা করবে, বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা; এটাতো আমেরিকারই বহুল প্রচলিত ঘটনা।
“আমেরিকার ক্ষমতার রাজনীতির প্রধান দুই দল ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের যারা প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের পাঁচজন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশের আছে। আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) পাঁচ সদস্যের একটি কারিগরি প্রতিনিধি দল এখন বাংলাদেশ সফর করছেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আইআরআই ও এনডিআইয়ের ১২ সদস্যের কারিগরি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। এই পাঁচ বিশ্লেষক ওই দলেরই অংশ। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে ছয় থেকে আট সপ্তাহ থাকবে।
তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে এবং সেগুলোর মূল্যায়ন করবে।
নৌকা বা স্বতন্ত্র প্রার্থী যে হোক না কেন, নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ইসির রায় মেনে নেওয়ার কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। আচরণবিধি যাতে যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় এবং যদি কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা হয়, এটা দেখার দায়িত্ব তাদের।
“এখানে আমি কোনো দল বুঝি না। প্রতিযোগিতা যদি বিঘ্নিত হয়, বিশৃঙ্খলা হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কোনো আপত্তি করবে না।“
গত ১৫ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডি যে দাবি করেছে-এ বিষয়ে করা প্রশ্নে পাল্টা প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, "এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? কোথায় আছে? সেটা আগে বলেন। সন্ধান দিলে আমরা জবাব দেব। আমাদের জানান।"
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।