জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র এবং তারপরের পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ পর্যালোচনা ও নিরীক্ষার লক্ষ্যে একটি স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে, বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।
Published : 11 Aug 2023, 09:55 PM
জাতিকে সম্পূর্ণরূপে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের স্মরণে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি তোলেন তিনি।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, “১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ড সাধারণ কোনও হত্যাকাণ্ড না। এই হত্যাকাণ্ড ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে জন্মের পরেই মেরে ফেলার দেশি-বিদেশি চক্রান্ত। সে কারণেই ১৫ অগাস্টের হাতেগোনা কিছু খুনিদের, জুনিয়র অফিসারদের বিচার সম্পন্ন হলেও এ ঘটনার নেপথ্যের ষড়যন্ত্র উন্মোচনের বিকল্প নেই।
“কারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র এবং তারপরের পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ পর্যালোচনা ও নিরীক্ষার লক্ষ্যে একটি স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন এখন একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। আমি আগেও বলেছি, এই হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সুতরাং স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশনের কাজও অনেক কঠিন।”
তিনি বলেন, “আমাদের এমন তদন্ত কমিশন দরকার, যারা যেকোনো কঠিন মুহূর্তে পিছপা হবে না। যেকোনো চাপ মোকাবিলা করতে পারবে। এই তদন্ত কমিশন কাউকে শাস্তি দেওয়ার জন্য না; রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না, বরঞ্চ জাতিকে সম্পূর্ণরূপে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য এই তদন্ত কমিশন। আমাদের প্রজন্মের সত্য জানার অধিকার আছে, যাতে আমরা সাদাকে সাদা বলতে পারি এবং কালোকে কালো। খুনি জিয়াউর রহমানদের পেছনে দেশে-বিদেশে কে বা কারা কাজ করছে, তা উন্মোচিত হওয়া দরকার।”
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, “রাজনীতির মাঠে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে, যুদ্ধে জয়লাভ করতে হলে অনুপ্রবেশকারী নয়, খাঁটি কর্মী দরকার। সামনে আমাদের কঠিন দিন, ১৫ অগাস্টের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলাকারী তারেক রহমানের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলাকারী বিএনপি-জামায়াতের দোসর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে।”
আলোচনা সভায় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, সহ-সভাপতি জাফর ইকবাল বক্তব্য রাখেন।
সভা সঞ্চালনা করেন উত্তরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসবিরুল হক অনু।