ভাঁওতা দিয়ে ক্ষমতায় এসে আর ছাড়ার নাম নাই: নজরুল

“১০ টাকা সের চাল, বিনামূল্যে সার, আর ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে ভাওতা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। এই যে আসলো, আর ছাড়ার নাম নাই,” বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2024, 12:37 PM
Updated : 6 March 2024, 12:37 PM

নবম সংসদ নির্বাচনে জনগণকে ভাঁওতাবাজির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ এখন জবরদখল করে ক্ষমতা আকঁড়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেছেন, “আজকে যারা ক্ষমতায় আছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ১০ টাকা সের চাল, বিনামূল্যে সার, আর ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে ভাঁওতা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। এই যে ভাঁওতা দিয়ে আসলো, আর ছাড়ার নাম নাই। ছলেবলে-কৌশলে এরা আছে। প্রশাসন, পুলিশ সবকিছু সাজানো।”

জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় কথা বলছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

সরকার ‘গুম, খুন ও গায়েবি মামলা দিয়ে’ অন্যদের নির্বাচনে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করেছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “যারা জিততে পারে তাদের গুম করো, খুন করো, গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করো, হয়রানি করো, নির্যাতন করো…তারা যাতে নির্বাচন আসতে না পারে তার ব্যবস্থা করো।

“আর যাদের সামর্থ্য নাই, যারা চামচা টাইপ, তাদের কিছু সিট দাও। এদের নতুন শখ হইছে, ডামি প্রার্থী বানাও।…নির্বাচনের নামে জিতে তাদের সরকার গঠন করা।”

সংসদে স্পিকারের ডানে-বামে ‘সবাই আওয়ামী লীগ’ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, “স্পিকারের ডান পাশে বসে সরকারি দল, বাম পাশে হইল বিরোধী দল। আমাদের যিনি সরকারপ্রধান তিনি বলেন, ডানে যারা তারাও আমার, বামে যারা তারাও আমার…হ্যাঁ, সবই আপনার।

“আর বিরোধী দল…মাত্র ১৩টা আসন। তাও দয়া করে ছাড়া হইছে। এই হল বিরোধী দল। ইন্ডিপেন্ডেন্ট যারা জিতে আসছে, হয়ত আগে আওয়ামী লীগ করে নাই…তারা কী করতেছে- হয় যোগদান করতেছে, আর না হয় স্যালুট দিয়ে দাঁড়ায়ে থাকতেছে। এই হল বর্তমান সংসদ।”

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম আমরা। শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিল সত্যিকারের গণতন্ত্র ঊনআশি সালের নির্বাচনের মাধ্যমে। আবার বিরাশি সালে স্বৈরাচারী এরশাদ জোর করে সেই গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। তার বিরুদ্ধে লড়াই করে খালেদা জিয়া আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, হুমায়ুন ইসলাম খান, মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মাওলা খান বাবুল, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান ও সদস্য মিলন ইসলাম খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি বাছির জামাল উপস্থিত ছিলেন।