কারাগারে মির্জা ফখরুলের সময় কাটছে বই পড়ে

কেরানীগঞ্জের কারাগারে বিএনপি মহাসচিবের পাশাপাশি মির্জা আব্বাসও রয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2022, 06:55 PM
Updated : 14 Dec 2022, 06:55 PM

কারাগারে বই পড়ে সময় কাটছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।

বুধবার সকালে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই নেতার সঙ্গে দেখা করার পর এ কথা জানান তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে স্বশরীরে সাক্ষাত করেছি। কিছু বই আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সেই বই এখন কারাগারে তার প্রতিদিনের সঙ্গী। আপনি জানেন, তিনি এক শিক্ষক মানুষ। বই পড়া তার প্রতিদিনের অভ্যাস। বাসায় কিছুটা সময় রিডিং রুমে বই, ম্যাগাজিন পড়েন।”

শারীরিক অবস্থা ‘মোটামুটি’ উল্লেখ করে রাহাত আরা বলেন, “মনোবল দৃঢ় আছে, মোটামুটি আছে। জানেন তো, এমনিতে তার অসুস্থতা আছেই। দোয়া করবেন।”

কিছু ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গত কয়েকদিন কারাগারে তার কষ্ট হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে ডিভিশন কক্ষ প্রদান করা হয়।”

মির্জা ফখরুল এই সরকারের আমলে আরও পাঁচ বার কারাগারে গেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৮৭টি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও একই কারাগারে রয়েছেন। বুধবার সকালে কারাগারে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন।

আফরোজা আব্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে বলেন, “উনার শরীরটা একেবারেই ভালো না। গত কয়েকদিন কঠিন কষ্টের মধ্যে তাকে দিনযাপন করতে হয়েছে। প্রথম দিন থেকে তিন দিন মহাসচিব এবং উনাকে নরমাল কয়েদিদের সঙ্গেই ফ্লোরে কম্বল বিছিয়ে ঘুমাতে হয়েছে।

“গতকাল রিট করার পর উনাদেরকে ডিভিশন দেওয়া হয়। বোঝেন, সরকারের প্রতিহিংসা কাকে বলে। দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদের প্রতি সরকারের এরকম আচরণ থেকে তাদের চরিত্র প্রকাশ পায়।”

আফরোজা আব্বাস জানান, “আজকে রাজনৈতিক ও মেডিক্যাল সায়েন্সের কিছু বইপত্র এবং কোরআন শরিফ দিয়ে  এসেছি। ঔষধপত্র দেওয়া হয়েছে। শারীরিকভাবে খুব একটা ভালো না হলেও মানসিক শক্তি ও মনোবল দৃঢ় আছে। নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবরও জেনেছেন তিনি।”

এর আগে রোববার কারাগারের বাথরুমে পড়ে গোড়ালিতে ব্যথা পান মির্জা আব্বাস।

Also Read: বিএনপি অফিস থেকে প্রিজন ভ্যানের মিছিল

Also Read: জামিন মেলেনি, ফখরুল ও আব্বাস কারাগারে

Also Read: কারাগারে ফখরুল-আব্বাসকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে, জানাল রাষ্ট্রপক্ষ

ঢাকায় সমাবেশ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে দলটির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

তারপর ৯ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন সন্ধ্যায় তাদেরকে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৫৭টি।

২০০৭ সালে সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদেও কয়েক দফা কারাগারে যান মির্জা আব্বাস।