তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সংগ্রামের কাফেলাকে আরও দৃপ্তপ্রত্যয়ী হয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
Published : 20 May 2023, 04:19 PM
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন হয়েছিল বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল না, এটা ছিল গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নেতৃত্বের প্রত্যাবর্তন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে আজকে ৪২ বছরের পথচলায় জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনকে হাতে নিয়ে পথ চলছেন, তাকে বার বার হত্যা করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বার বার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে শেখ হাসিনা দ্বিধান্বিত হননি, বিচলিত হননি, থমকে দাঁড়াননি। বরং এই দেশের মানুষের সংগ্রামের কাফেলাকে আরও দৃপ্ত প্রত্যয়ী হয়ে তিনি এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাই শেখ হাসিনা হচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়ী।”
বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “মীর্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন আওয়ামী লীগ নাকি দেশে-বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে। দেশের সমর্থন দেখার জন্য আমি উনাকে অনুরোধ জানাই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। আর আন্তর্জাতিক সমর্থন তো সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তিনটি দেশের সফরেই দেখেছেন। জাপান কীভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করেছেন, তা তার সফর সঙ্গীদের কাছে শুনলে অবাক হবেন।
“জাপান ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার জন্য এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। যে বিশ্ব ব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সেই বিশ্ব ব্যাংক নিজেরাই প্রস্তাব করেছে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে সহায়তা করার। ইউকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন- আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। ফখরুল সাহেবরা যদি এগুলো বুঝতে না পারেন, তাদের কানের পরীক্ষা করা উচিত। দেখতে না পেলে চোখের পরীক্ষা করা উচিত ।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বার্থকতা এখানে যে, আজকে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, আজকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমরা সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। এই সাফল্যে ভারত ও পাকিস্তানের টেলিভিশনগুলোর টকশোতে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসার ঝড় বয়ে গেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের টেলিভিশনে শেখ হাসিনার প্রশংসার ঝড় আমি সেভাবে দেখতে পাইনি, এটাই বাস্তবতা।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, “যদি শেখ হাসিনা ফিরে না আসতেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসত না, আজকে বাংলাদেশর যে অগ্রযাত্রা, তা হতো না।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বক্তব্য দেন।