বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে অত খায় খাতির কীসের, প্রশ্ন ইনুর

জাসদ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ আর কোনোদিন ‘রাজাকার সমর্থিত’ সরকার হবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2023, 03:37 PM
Updated : 19 Feb 2023, 03:37 PM

স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের ‘দোসর’ বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য কেন অত ‘খাতির’ করা হবে, সেই প্রশ্ন রেখেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। 

রোববার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৪ দলের আলোচনা সখায় তিনি এই প্রশ্ন রাখেন। 

জাসদ সভাপতি বলেন, “বাংলাদেশের ৫০ বছরের পরেও রাজনৈতিক অঙ্গনে উনসত্তর, একাত্তর, ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের খুনির দোসর বিএনপির পক্ষ হয়ে বাংলাদেশে রাজাকার ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হালাল করার চক্রান্ত চালাচ্ছে। 

“বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য অত খায় খাতির কীসের? রাজাকারদের নির্বাচনে আনার জন্য এত খায় খাতির কীসের? আমাদের ফয়সালা করতে হবে, বাংলাদেশ আর কোনদিন রাজাকার সমর্থিত সরকার হবে না।” 

যারা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি, জাতির পিতা, বাংলাদেশর মূলনীতি মানে না দেশের রাজনীতি থেকে তাদের ‘ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে’ বলেও মন্তব্য করেন হাসানুল হক ইনু। 

তিনি বলেন, “২৭-দফা ও জাতীয় সরকারের নামে বিএনপি যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিদের সঙ্গে রাজনৈতিক পার্টনারশিপের ওকালতি করেছে।” 

‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখনো বিপদের ভেতরেই আছে’- মন্তব্য করে হাসানুল হক ইনু বলেন, “এখনো রাষ্ট্রে বিএনপি-জামায়াত চক্র লাথি মারা, ধাক্কা দেওয়া এবং সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা করে। আমরা অনেক কষ্টে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামরিক শাসক, সাম্প্রদায়িকতার ছাপগুলোর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি।” 

বাংলাদেশে বেঈমান ও রাজাকারদের জায়গা নেই মন্তব্য করে জাসদ সভাপতি বলেন, “রাজাকারদের জায়গা না থাকলে, তাদের দোসর বিএনপিরও জায়গা নেই।” 

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের এ আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। 

বিএনপি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে পুঁজি করে আন্দোলনের চেষ্টা করছে দাবি করে আমির হোসেন আমু বলেন, “এটার জন্য সরকার দায়ী নয়, জনগণ তা বোঝে বলেই আন্দোলনে সাড়া পাচ্ছে না তারা। 

“আন্দোলনের নামে বিএনপি সহিংসতা করতে পারে। আওয়ামী লীগ দলগত ও সরকারগতভাবে সজাগ এবং সতর্ক। বাংলাদেশ সংবিধানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।” 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াসহ ১৪ দলের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।