Published : 06 Apr 2024, 02:31 PM
ব্যাংক লুট, অপহরণ ও সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘিরে পাহাড়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে যৌথ অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, বান্দরবানের পরিস্থিতি শিগগিরই 'নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে' বলে সরকার আশা করছে।
ঈদ সামনে রেখে শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাসেক-২ প্রকল্পের একটি রেলওয়ে ওভারপাস, সাতটি ওভারপাস ও দুটি সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন সেতুমন্ত্রী।
পাহাড়ের ঘটনায় গোয়ন্দা ব্যর্থতা ছিল কি না, সেই প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, "এখানে যৌথ অভিযান চলছে, আশা করি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। এটা বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে, গোটা পাহাড় এখানে ইনভলব না। এটা বান্দরবানের রুমা, থানচি এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ আছে, তারা বম নামে একটা উপজাতি...।”
তিনি বলেন, "এদের সঙ্গে তো আলাপ আলোচনাও কয়েকবার হয়েছে। এর পরে এরা হঠাৎ করে এভাবে অস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহ কেন করল, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পরিস্থিতির আর কোনো অবনতি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের যৌথ অভিযান চলছে। আশা করি পরিস্থিতি কন্ট্রোলে চলে আসবে।"
মঙ্গলবার রাতে শতাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায়। তারা ব্যাংকের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা রক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করে। টাকার পাশাপাশি পুলিশের অস্ত্রও লুট করে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীন তখন রুমা উপজেলা পরিষদ এলাকায় মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ছিলেন। হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে তাকে অপহরণ করে।
পরদিন দুপুরে রুমা থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে থানচি উপজেলা সদরে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে তিনটি গাড়িতে আসা একদল সশস্ত্র লোক।
এ নিয়ে দুই উপজেলার মানুষের ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করে র্যাব। এর পরপরই থানচিতে পুলিশ ও সশস্ত্র লোকদের মধ্যে ঘণ্টাখানেক গোলাগুলি হয়।
এসব ঘটনায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নাম এসেছে; যারা পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত।
এর পেছনে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের ইন্ধন আছে কি না– এ প্রশ্নে কাদের বলেন, "বাইরের কার সাপোর্ট পাবে? বাইরে এখন... ইউপিডিএফের কথা বললে, চাকমাদের কথা বললে, সন্তু লারমার কথা বললে, এদের এই ক্ষুদ্র অংশকে মদদ দেবে? এটা একটা বিচ্ছিন্ন, কোনো ক্ষোভ, তাদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়েও তারা করতে পারে। এর কারণ জানা যাবে শিগগিরই।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, "মিজোরামের সাথে কোনো কানেকশন আছে বলে আমার জানা নেই। যদিও মিজোরামে বম অনেক। এর সাথে এখানে সীমান্ত থেকে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী বা টেরোরিস্ট সংগঠন মদদ দেবে– এটা আমাদের মনে হয় না।"
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল কি না– সেই প্রশ্নে কাদের বলেন, " এখানে ঘটনা যখন ঘটে গেছে, ওই এলাকা সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা থাকে... যদিও আমি পাহাড়ের সর্বত্র অনেক রাস্তা করেছি। এগুলো বিচ্ছিন্ন এলাকা। এটা এখন তদন্ত হচ্ছে, জোর তদন্ত চলছে, সব বেরিয়ে আসবে।"