“স্থানীয় নির্বাচন আগে দিলে কমিশনও নিজেদের দুর্বলতাটা বুঝতে পারবে।”
Published : 20 Feb 2025, 08:52 PM
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের ‘কিছু নির্বাচন’ দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নুর বলেন, “দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে এ মুহূর্তে তো জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। ডিসেম্বর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলার কতটুকু উন্নতি ঘটে, সেটা দেখার বিষয়।
“সে বিবেচনায় আমরা বলেছিলাম যে, অন্তত স্থানীয় পর্যায়ে মানুষের মধ্যে পজিটিভ প্র্যাকটিসের জন্য, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা দেখানো জন্য এবং তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচন নিয়ে ‘ভাইভ’ তৈরি করার জন্য পুরোপুরি না হলেও কিছু নির্বাচন দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সক্ষমতা দেখা যেতে পারে।”
সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, নাকি পরে- তা নিয়ে চলমান রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে এই অবস্থান ‘তুলে ধরল’ গণঅধিকার পরিষদ।
বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। অন্যদিকে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল আগে স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আগে করার পক্ষে মত দেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও।
এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার আট সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ইসি ভবনে যায় গণঅধিকার পরিষদ। সেখানে তারা নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির সঙ্গে বৈঠকে করে।
বৈঠকের পর নুর বলেন, “স্থানীয় নির্বাচন দিলে কমিশনও বুঝতে পারবে তাদের কোন কোন জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। সেটা এক্সপেরিমেন্ট না করে সরাসরি জাতীয় নির্বাচনে গেলে তা কতটুকু ফলপ্রসু হবে, সেটা বিবেচনার বিষয়।
“যদিও নির্বাচন কমিশন বলেছে, তাদের প্রথম প্রায়োরিটি জাতীয় নির্বাচন করা। সেক্ষেত্রে ওনারা রাজনৈতিক ঐকমত্যে জোর দিয়েছেন। রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে সেটা সম্ভব।”
নূর বলেন, “আমরা মনে করি, অন্তত কিছু পর্যায়ে স্থানীয় নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি। ছয় মাস ধরে জনপ্রতিনিধি নেই স্থানীয় পর্যায়ে। এক্ষেত্রে সিটি, উপজেলা, পৌরসভা–তিনটি ধাপের মধ্যে দুটো ধাপ হতে পারে।”
জাতীয় নির্বাচনে আগে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিও ইসিকে জানিয়েছে দলটি।
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মিটিংয়েও রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়েছে যে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে।
“একটা রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ ও দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন গণদাবিতে রূপ নিয়েছে। তাহলে তাদের নিবন্ধন তো ‘অটো’ বাতিল হবে অবশ্যই।”
আরও পড়ুন