পুলিশ বলছে, হরতাল ও অবরোধ সফলে যুবদল আটটি টিম গঠন করেছে।
Published : 10 Dec 2023, 07:22 PM
হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে যুবদলের আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকার লালবাগ কেল্লার মোড় ও গাজীপুর থেকে শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মশিউর রহমান।
যাদেরকে ধরা হয়েছে, তারা হলেন- আতাউর রহমান, নাজির হোসেন, মাসুদ মিয়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক দিল গণি, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হাওলাদার ও একই ওয়ার্ডের যুবদল নেতা মো. শাহীন, ৫৬ নম্বর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সদস্য সচিব মো. সিদ্দিক হাওলাদার।
পুলিশের অভিযোগ, ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষ, সহিংসতা এবং পরে হরতাল-অবরোধের নাশকতার সঙ্গে তারা জড়িত ছিলেন।
এদের মধ্যে আতাউরকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর বলেন, “তিনি মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। হরতাল ও অবরোধ সফলে যুবদলের গঠিত আটটি টিমের একটির টিম লিডারও তিনি।
“মির্জা আব্বাস, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, খন্দকার এনাম এবং রবিউল ইসলাম নয়নের তত্ত্বাবধানে থেকে আতাউর নানা তাণ্ডব চালিয়েছেন। মির্জা আব্বাসের শক্ত লাঠিয়াল হিসেবে সবুজবাগ এলাকায় কাজ করলেও ২৮ অক্টোবর পরবর্তী হরতাল-অবরোধে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর ও বোমা বিস্ফোরণসহ নানা কাজের জন্য তাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ এবং চকবাজার থানা এলাকার সেই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।”
মশিউর বলেন, “আতাউরের তত্ত্বাবধানে থেকে তিন থানার যুবদল কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে এই অপকর্ম করে আসছিলেন। শনিবার রাতে কেল্লার মোড় (লালবাগ) বাজার মসজিদের পেছন থেকে মিছিলের প্রস্তুতির সময় বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
গেপ্তার নাজির হোসেন ও মাসুদ মিয়া লালবাগ থানা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জানিয়ে পুলিশ বলছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।