সরকার হটাতে না পারলে ‘অনাচার-অত্যাচার’ দূর হবে না: মোশাররফ

জনগণের কাছে ‘দেশের মালিকানা ফেরত’ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2023, 01:28 PM
Updated : 5 Jan 2023, 01:28 PM

ক্ষমতাসীনদের হটাতে না পারলে দেশ থেকে ‘অনাচার-অত্যাচার’ দূর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

তিনি বলেছেন, “এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা হটাতে চাই, এই সরকারকে না হটাতে পারলে যত অনাচার-অত্যাচার, যত রকমের অন্যায় আছে- তা আমরা দূরীভূত করতে পারব না। অর্থাৎ গণতন্ত্র না থাকলে স্বাভাবিকভাবে কোনো সেক্টরই সুন্দরভাবে চলতে পারে না। সেটাই আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে গণতন্ত্রকে হত্যা করে; তারা স্বাধীনতার পরে করেছিল বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে, এখন আবার করেছে।” 

বড়দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এখন আমাদেরকে এই বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে হবে। আমি আশা করি, আমরা বাংলাদেশের সকল মানুষ- খ্রিষ্টান হন, হিন্দু হন, বৌদ্ধ হন, মুসলমান হন- আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে উদ্ধার করব; জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফেরত দিতে পারব।” 

বিএনপি ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ ২৭ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সেখানে ১৬ নম্বর দফায় আছে, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। এটা হচ্ছে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখার একটি। এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে। 

“আমাদের দলের যে আদর্শ, আমাদের দলের যে গঠনতন্ত্র তার মধ্যে ২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে যে, ধর্ম বিশ্বাস এবং ধর্মপ্রিয়তা- বাংলাদেশি জাতির এক মহান একটি চিরঞ্জীব বৈশিষ্ট্য। আমরা যার যার ধর্মকে বিশ্বাস করি, শ্রদ্ধা করি, মানি। আমরা সকলের সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।” 

বিএনপি নেতা মোশাররফ বলেন, “আপনারা শুনেছেন, বাংলাদেশে আজ কত জায়গা নানা রকমের বাধা সৃষ্টি করছেন, ধর্মীয় মন্দিরে গীর্জায়… এগুলো বলে শেষ করা যাবে না।” 

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অনুষ্ঠানে বাইবেল পাঠের পর বড়দিনের কেক কাটা হয়। 

বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টার সভাপতিত্বে এবং সুব্রত চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার; বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতৃবৃন্দের মধ্যে শীবল রিবেরু, শশধর দ্রং, জন জেদ্রা, মার্শেল এন চিরান, মৃগেন হাগিদক, যোয়েল আন্তণী চৌধুরী, জর্জ ওয়াসিন্টন, পবিত্র প্রামানিক, মন্টু পিটার রোজারিও, অনিল লিও কস্তা, শ্যামল রঞ্জন ভৌমিক, নিতাই কুমার সাহা।