তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি, লিভার জটিলতায় ভুগছেন।
Published : 18 Jan 2024, 12:08 PM
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেবিনেই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউ সেটআপে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন শনিবার সকালে একথা জানান।
৭৮ বছর বয়েসী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ্। গতকাল ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়েছিল। বিকালের দিকে শারীরিক অবস্থা স্টেবল হলে আবার কেবিনে নিয়ে আসা হয়। এখন কেবিনে সিসিইউ সেটআপে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক নিবিড় অবজারভেশনে তিনি আছেন।”
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি, লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিসকদের সমন্বয় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা দিচ্ছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে যান বিএনপি নেত্রী। হাই কোর্ট সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাজা হয় সাত বছরের। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে সাজা ছয় মাস স্থগিত হলে সাময়িক মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী। এরপর আরও পাঁচ দফা বাড়ে সাময়িক মুক্তির মেয়াদ। বিদেশে যেতে পারবেন না, এমন শর্তেই তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হলেও পরে বিএনপি সেই দাবি জানাতে থাকে। তবে সরকার কর্ণপাত করেনি।
শুক্রবারও উত্তরার আবদুল্লাহপুরে দলীয় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অতিদ্রুত খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে আবারও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আজকে যখন তার জীবন-মরণ সমস্যা…তখন তাকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন বন্দি নন, এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নম্বর নেত্রী…। একবার নয় তিন বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী। এখনও কারাগারে থেকেও এই অসুস্থবস্থায় এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। এই নেত্রীকে আজ তারা বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
খালেদা জিয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতিবেদনে অবিলম্বে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সুপারিশ করেছে। সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তি শর্তাবলীতে বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে বিদেশে পাঠানো যাচ্ছে না।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)