চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
Published : 06 Jan 2015, 12:16 PM
কোতোয়ালি ও চকবাজার থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেছে।
নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর এবং সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করা হয়েছে বলে কোতোয়ালি থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন।
এ মামলায় নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, উত্তর জেলার আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি এনামুল হক এনামসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির অন্তত ৫০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের মধ্যে আসলাম চৌধুরী ও এনামুল হক এনামসহ ২৬০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে চকবাজার থানার জামায়াত শিবিরের ১৫০ থেকে ২০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করা হয়।
চকবাজার থানার ওসি আতিক আহমেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিকালে চকবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি হয়েছে।
তবে মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, “চকবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িতরা কোতোয়ালি থানা এলাকায়ও সংঘর্ষে জড়ায়।
“সেখানে অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। কোতোয়ালি থানায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে চকবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িত কেউ আছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।”
সন্ধ্যায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। নাসিমন ভবনের সামনের ‘ইয়াসমিন প্যালেস’ থেকে আটক করা হয় ২৪০ জনকে।
এদের মধ্যে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি এনামুল হক এনামও রয়েছেন।
এর আগে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ভাংচুর ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান।
এরপর নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনসহ সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সংঘর্ষকারীরা কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয় এবং বিজয় মেলার কয়েকটি দোকান পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়া লালখান বাজার, ওয়াসা ও চট্টেশ্বরী মোড়ে বেশ কিছু যানবাহন ও বিভিন্ন স্থাপনার কাঁচ ভাংচুর করা হয়।
এরপর সন্ধ্যার দিকে সমাবেশ মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত দুটি ট্রাকের নিচ থেকে আটটি পেট্রোল বোমা ও একটি হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ।