নির্ধারিত সময়ের আগে সরকার ক্ষমতা ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
Published : 29 Nov 2014, 05:24 PM
শনিবার বিকেলে খুলনার সার্কিট হাউস ময়দানে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আশরাফ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন শক্তি নেই নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেও এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারে।
আওয়ামী লীগ মুখপাত্র বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, “আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন, নির্বাচনের দ্বিতীয় নৌকা যেন হারাতে না হয়।”
৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন আশরাফ।
“তিনি চেষ্টা করেছিলেন শেখ হাসিনা যেন প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। মার্কিন উপ-সহকারী নিশা দেশাই বিসওয়ালের দিকে হাত পেতে বসে আছেন খালেদা জিয়া। নিশা দেশাই দুই দুই বার বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। যতবারই সাক্ষাত করুন না কেন কোন লাভ হবে না।”
সম্মেললন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা নামধারী জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর পাঁয়তারা করা হয়েছিল। জিয়ার আশ্রয় প্রশ্রয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পুরস্কৃত হয়েছিল।”
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি আড়াই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন শেখ সেলিম।
তিনি বলেন, “জঙ্গি জামায়াতদের সাথে নিয়ে বিএনপি এমন কোনো সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ড নেই যা তারা করেনি।”
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা প্রমুখ।
সম্মেলনে সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম।
এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
একই স্থানে দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে তালুকদার আব্দুল খালেক সভাপতি এবং মিজানুর রহমান মিজান সাধারণ সম্পাদক পুননির্বাচিত হন।
২০০৪ সালের ১৪ জানুয়ারি খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১০বছর পর শনিবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আগের কমিটি বহাল রাখা হয়েছে।