ছাত্রদলের নেতৃত্ব নিয়ে সংকট সমাধানে সংগঠনটির নতুন কমিটিতে পদ না পাওয়া নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস।
Published : 21 Oct 2014, 05:04 PM
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকে মির্জা আব্বাসের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত আছেন।
ছাত্রদলের নতুন কমিটি দেওয়ার পর দেখা দেওয়া অস্থিরতা নিরসনে সোমবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা আব্বাস। ওই বৈঠকে আলাল ছাড়াও দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শজিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহসম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আব্বাসের বাসায় বৈঠকে পদবঞ্চিতদের মধ্যে আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, আবু সাঈদ, জাবেদ হাসান স্বাধীন, তরুন দে, শহীদুল্লাহ এমরান, ফেরদৌস মুন্না, তরিকুল ইসলাম টিটো, নুরুজ্জামান মুকিত লিংকন, মসিউর রহমান মিশু, শামসুজ্জোহা সুমন, হাবিবুর রহমান সুমন, রফিকুল ইসলাম রফিক, রাকিবুল ইসলাম রয়েল, কাজী শহিদুল ইসলাম, রকিউল হাসান সবুজ, আসাদুজ্জামান মিয়া, এসএম মোশারেফ হোসেন মুশু, দবির উদ্দিন তুষার প্রমুখ রয়েছেন।
গত ১৪ অক্টোবর রাজিব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদককে করে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের পর দিন থেকে নয়া পল্টনে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিল পদ না পাওয়া নেতা ও তাদের সমর্থকরা।
গত রোববার নতুন কমিটির নেতারা কার্যালয়ে গেলে বিক্ষুব্ধরা হামলা চালায়। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর চলে, কয়েকটি হাতবোমাও ফাটানো হয়। এ সময় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও ভাংচুর করা হয়।
ভাংচুর-মারামারির পর রোববার বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আশ্বাসে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে।