বিয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর ৬৭ বছর বয়সী রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে জরির কাজ করা লাল পাঞ্জাবি পরে সংসদে দেখে ফোঁড়ন কাটতে ছাড়েননি সংসদ সদস্যরা।
Published : 10 Sep 2014, 08:15 PM
‘চার্মিং মুডে’ থাকা রেলমন্ত্রীও নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বললেন, সুখী হতে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তিনি।
অকৃতদার মুজিবুল হক এ মাসের শুরুতে জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিন বছরের পরিচিত পাত্রীকে ঘরে তুলবেন তিনি।
তারপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই তাকে বিয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। বুধবার সংসদ অধিবেশনে তাকে রঙিন পোশাকে দেখে বিভিন্ন মন্তব্য করেন সংসদ সদস্যরা।
সংসদে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার পেছনে দ্বিতীয় সারির ৪ নম্বর আসনে বসেন রেলমন্ত্রী। বেশ খোশ মেজাজেই দেখা যাচ্ছিল তাকে।
মাগরিবের নামাজের পর রেলমন্ত্রীকে সম্পূরক প্রশ্ন করতে দাঁড়িয়ে এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, “আজ মাননীয় মন্ত্রী কৃষ্ণচূড়া রঙে আছেন, চার্মিং চার্মিং মুডে রয়েছে। তার চার্মিং মুড নষ্ট করতে চাই না। আমি অনেক কঠিন প্রশ্ন করতে পারতাম...।”
সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে সহাস্যে রেলমন্ত্রীও নিজের অনুভূতির কথা তুলে ধরেন।
“মাননীয় সদস্য বলেছেন-চার্মিং মুডে আছি। পৃথিবীতে সবাই তো সুখী হতে চায়।”
এসময় পুরো অধিবেশনে হাসির রোল পড়ে। অনেকে টেবিল চাপড়ে মন্ত্রীর কথাকে সাধুবাদ জানান।
মুহিবুর রহমান মানিক তার প্রশ্ন করার আগে ফোঁড়ন কেটে বলেন, “মাননীয় মন্ত্রীর বিলম্বে হলেও শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে।”
তার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে মুজিবুল হক সহাস্যে বলেন, “না হওয়ার চেয়ে শুভ কাজ দেরিতে অনেক ভালো।”
এবারও মন্ত্রীর বক্তব্যকে টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান অন্য সংসদ সদস্যরা।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী সেলিম প্রশ্ন করতে গিয়ে মন্ত্রীর লাল রঙের বেশ নিয়ে প্রচলিত একটি গানের প্রথম লাইন আওড়ান।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে ১৯৪৭ সালের ৩১ মে জন্মগ্রহণ করেন মুজিবুল।
৬৭ বছর বয়সে এসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছিলেন, “দেখলাম মানুষের জীবনের শেষ বয়সে এক জন সঙ্গিনী দরকার, যাতে পরবর্তী জীবনে নিঃসঙ্গ না থাকতে হয়, বাকি জীবনটা ভালভাবে কাটানোর জন্য।”